রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) ২০২৫ সালের নির্বাচন কমিশনের প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালাকে স্বাধীন সাংবাদিকতা, তথ্য অধিকার এবং গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী আখ্যায়িত করে তা অবিলম্বে স্থগিত ও সংশোধনের জোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। অবিলম্বে এ নীতিমালা সংশোধন না করলে সাংবাদিকরা আসন্ন নির্বাচন কভার করবে না বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সিইসিকে স্মারকলিপি প্রদান করেন করেন আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ সংগঠনটির নেতারা।
এর আগে, নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক জরুরি মতবিনিময় সভায় আরএফইডি-এর নির্বাহী কমিটি, সাধারণ সদস্য এবং নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালনকারী অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা সর্বসম্মতভাবে সিইসিকে স্মারকলিপি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘এই নীতিমালার ফলে সাংবাদিকদের নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়বে।’’
আরএফইডি-এর পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেয়া স্মারকলিপিতে মূলত চারটি বিষয় তুলে ধরা হয় :
১. নীতিমালার প্রণয়নে গণমাধ্যম পেশাজীবীদের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি;
২. ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে সময় ও সংখ্যা সীমাবদ্ধতাসহ বাস্তববিচ্যুত শর্ত আরোপ করা হয়েছে;
৩. সাক্ষাৎকার ও সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে;
৪. সাংবাদিকদের নিরাপত্তা উপেক্ষা করে একতরফাভাবে শাস্তিমূলক ধারা রাখা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘এই নীতিমালা স্থগিতের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ এছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে এই নীতিমালা সংশোধনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ‘বিদ্যমান নীতিমালায় সাংবাদিকরা আগামী সংসদ নির্বাচনের কাভারেজ করবে না।’
মতবিনিময় সভায় অংশ করা করা সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে একটি বাস্তবমুখী, স্বাধীন ও সাংবাদিকবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সংগঠন পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবে।’