জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান দলটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস এদেশে কোনো দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সময় নষ্ট না করে জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
তারা আরো বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের গণজমায়েতের ওপর সঙ্ঘটিত বর্বর গণহত্যা নিয়ে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন আজ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। তাছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথিত জঙ্গি-নাটকসংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কখনো তারা অফিশিয়ালি উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। আমেরিকা ও ভারত সুযোগ করে না দিলে এদেশে রাষ্ট্র কর্তৃক কখনো কথিত ‘জঙ্গিবাদ’ দমনের নামে আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থীদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটতে পারত না। এক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিস থাকা না-থাকায় কিছু যায় আসে না। ফিলিস্তিনে গত ৩০ বছর ধরে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিস থেকেও কোনো লাভ হয়নি। ফলে বাংলাদেশে আমরা নতুন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দিব না ইনশাআল্লাহ।
অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন চুক্তিতে সই করায় তীব্র প্রতিবাদ জানান নেতৃদ্বয়। তারা বলেন, দেশের ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর টানা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও উদ্বেগ সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন চুক্তিতে সই করায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নাগরিকদের মতামত ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে কোনো স্পর্শকাতর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সরকার। অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো। মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিস এদেশে হতে দেয়া যায় না। এটা এদেশের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি