হজযাত্রীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট : ধর্ম উপদেষ্টা

সরকার হজ নিয়ে কোনো ব্যবসা করে না, বরং সরকারি মাধ্যমে হজ প্যাকেজের অব্যয়িত অর্থ হাজীদের ফেরত দিয়ে থাকে। এবছর আমরা সরকারি মাধ্যমের হাজীদের আট কোটি ২৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন |ইন্টারনেট

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজযাত্রীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট আছে। গত বছর প্রায় ২৭ হাজার টাকা বিমানভাড়া কমানো হয়েছিল। এবারো বিমানভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আশকোনায় ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে ২০২৬ সালে সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজের খরচ কমানোর বিষয়ে জনসাধারণের জোরালো দাবি আছে। কিন্তু ইচ্ছা করলেই সরকারের পক্ষে হজের খরচ কমানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে সৌদি আরব প্রান্তে সে দেশের সরকার নির্ধারিত খরচ আমরা কমাতে পারি না। আমরা শুধু বিমান ভাড়া ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে কিছুটা দর কষাকষি করতে পারি। বিমানভাড়া যৌক্তিকভাবে নিরূপণের লক্ষ্যে আমাদের তৎপরতা আছে।

তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই। সরকার হজ নিয়ে কোনো ব্যবসা করে না, বরং সরকারি মাধ্যমে হজ প্যাকেজের অব্যয়িত অর্থ হাজীদের ফেরত দিয়ে থাকে। এবছর আমরা সরকারি মাধ্যমের হাজীদের আট কোটি ২৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি।

ড. খালিদ বলেন, সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী যত বৃদ্ধি পাবে, হজ ব্যবস্থাপনা তত সহজ ও নিরাপদ হবে। এ দেশ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হজযাত্রী যদি সরকারি মাধ্যমে হজে যায়, তাহলে আমরা তাদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারব।

তিনি সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী বৃদ্ধিতে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আরো তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানান।

ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্মসচিব (হজ) ড. মঞ্জুরুল হক বক্তব্য রাখেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: আয়াতুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব মো: ইমতিয়াজ আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ: ছালাম খান উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় আয়োজক মন্ত্রণালয়, ঢাকা হজ অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দফতর, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় ও ইমাম প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

সূত্র : বাসস