শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে শনিবার দুপুরে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাময়িকভাবে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে |নয়া দিগন্ত

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগা আগুনের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের কার্গো সেকশনে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে শনিবার দুপুরে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাময়িকভাবে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বিমানবন্দরের মূল যাত্রী টার্মিনালটি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যদিও ঘন কালো ধোঁয়া পুরো রানওয়ে জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, যা বিমান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘন কালো ধোঁয়া কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও দৃশ্যমান ছিল।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো অংশে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন আমদানি পণ্য রাখার স্থান কার্গো সেকশনে আগুন লাগার পরপরই নেভাতে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের একের পর এক ইউনিট। যুক্ত হয় সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর ইউনিটও। অগ্নিকাণ্ডের পর দেশের প্রধান বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঢাকায় নামতে না পেরে অন্য বিমানবন্দরে গেছে এক ডজনের বেশি ফ্লাইট।

পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে সাধারণত তুলনামূলক কম ওজনের যন্ত্রপাতি, পচনশীল ও ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।

এদিকে, আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২৫ আনসার সদস্য। তাদেরকে সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বেবিচক জানিয়েছে, আপাতত সব উড়োজাহাজ নিরাপদ রয়েছে। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।