মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, ‘দুর্যোগকালে জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের জন্য সুবিধাজনক স্থানে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।’
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর এবং চটচটিয়া শিবনগর খেয়াঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘অতীতে অনেক আশ্রয়কেন্দ্র নিচু ও বন্যাপ্রবণ এলাকায় নির্মিত হয়েছে, যা কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেসব আশ্রয়কেন্দ্র সঠিকভাবে স্থান নির্ধারণ না করে নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে। নির্মাণাধীন কেন্দ্রগুলোর উপযোগিতা নিরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি জানান, এখন থেকে তিনতলা বিশিষ্ট দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। দুর্যোগকালে দ্বিতীয় তলায় নারী ও শিশু এবং তৃতীয় তলায় পুরুষদের জন্য ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অর্থ ব্যয় করছে। দুর্যোগকালে এসব ভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, আর অন্যান্য সময়ে জনস্বার্থে ব্যবহারযোগ্য থাকবে।’
২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, খুলনার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান, সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনসাধারণ। বাসস