কোনো ব্যক্তি বা দলের প্রতি মাঠ প্রশাসনের ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা পক্ষপাতিত্ব করলে তাকে প্রত্যাহার করে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোখলেস উর রহমান।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এবার কেউ এতটুকু যদি এদিক-ওদিক কারো পক্ষে বা কোনো দলের পক্ষে করেন, তারপরও যদি আমরা এরকম বুঝি, তাকে আমরা উইথড্র (প্রত্যাহার) করব, প্রচলিত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এখন পর্যন্ত এতটুকু জানি সেই রকম নেই।’
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘মাঠ প্রশাসন বলতে আমি যাদেরকে বুঝি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)- ওনারা নির্বাচনের সাথে জড়িত এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) এবং অন্যান্য অফিসাররা ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ও সেনাবাহিনীর সাথে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ডিউটি করে। এটা হলো ম্যাজিস্ট্রেসি ডিউটি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, গতকালকেও ওনার প্রেস সেক্রেটারি শক্তভাবে বলেছেন- নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই, এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ নেই।’
মোখলেস উর রহমান আরো বলেন, ‘সিভিল সার্ভিসের গত তিনটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, এখান থেকে তাদের জন্য শক্ত বার্তা। তাদের মধ্য থেকে করা রিটার্নিং অফিসার হচ্ছে- সেটা নির্ধারিত হবে তফসিল ঘোষণার পর। ওই সময় সরাসরি যে নির্দেশনা যাবে এর বাইরে কোনো ডিসি কাজ করতে পারবেন না বা করবেন না। সকলেই দেশপ্রেমিক মানুষ, সবাই চায় একটা মডেল নির্বাচন। এমন একটা নির্বাচন হোক, যা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।’
গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের পর আগামী নির্বাচন আপনাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা এই চ্যালেঞ্জটাকে মেনে নিয়েই অনেক ধরনের যাচাই-বাছাই করে আগে যারা এগুলোর সাথে জড়িত ছিল বা প্রো-অ্যাকটিভ ছিল, ওভার অ্যাকটিভ ছিল তারা কেউই তালিকার মধ্যে নেই এবং থাকবে না।’
সূত্র : ইউএনবি