ইসরাইলের কারাগারে আটক বাংলাদেশী আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের হাতে আটক শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে, আজই তাকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নিয়ে আসা সম্ভব হতে পারে। তবে এ বিষয়ে তারা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টে আরো বলা হয়, শহিদুল আলমকে অবৈধভাবে আটক করার পরই জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দফতরের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত মুক্তির উদ্যোগ নিতে বলা হয়। দূতাবাসগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর গাজা অভিমুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘কনশানস’ আটক করে ইসরাইলি বাহিনী। ওই জাহাজে শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন মানবাধিকারকর্মী ছিলেন।
ওই দিন বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার কিছু পর শহিদুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ইসরাইলিরা কনশানসের দিকে এগিয়ে আসছে।
পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আরেক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আমাদের সাগরে আটকে দেয়া হয়েছে এবং আমাকে ইসরাইলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। এরা সেই বাহিনী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণে গাজায় জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।



