সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

লালমাটিয়ায় স্কুলে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের হামলা

‘সাবেক প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমান সোহাগের নির্দেশে একদল বাহিনী সকালে স্কুলে হামলা চালায়, এতে শিক্ষক কর্মচারীরা লাঞ্ছিত ও আহত হন। এ সময় স্কুলে পরীক্ষা চলছিল।’

নিজস্ব প্রতিবেদক
লালমাটিয়ার এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন
লালমাটিয়ার এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন |নয়া দিগন্ত

রাজধানীর লালমাটিয়ার এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে হামলার ঘটনায় শিক্ষকসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিগত সরকারের সময়ে গুমের শিকার মো: আখতারুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মুফতী কাজী ইব্রাহিম।

আখতারুজ্জামান বলেন, সাবেক প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমান সোহাগের নির্দেশে একদল বাহিনী সকালে স্কুলে হামলা চালায়, এতে শিক্ষক কর্মচারীরা লাঞ্ছিত ও আহত হন। এ সময় স্কুলে পরীক্ষা চলছিল।

তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট বাচ্চারা এমন ঘটনা জীবনে কখনো দেখেনি।’

মো: আখতারুজ্জামান জানান, ২০১৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর ‘পিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ বন্ধ হওয়ার পর সেখানকার কিছু শিক্ষার্থী তার প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়। এরপর থেকে লালমাটিয়া, মিরপুর ও উত্তরায় এই তিনটি শাখা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সোহাগ মূল প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন না। তৎকালীন আওয়ামী লীগে প্রভাবশালী নেতা আমীর হোসেন আমুর চাপে তাকে বিনা পুঁজিতে প্রতিষ্ঠানে নিতে হয়েছিল।

নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সোহাগকে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। সোহাগের জমা দেয়া শিক্ষাগত সনদ ‘জাল’, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অবৈধ ঘোষণা করে। পরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডও তাকে অপসারণের নির্দেশ দেয়। একইসাথে প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোহাগ নয় মাস ধরে স্কুলে না এলেও প্রিন্সিপাল পরিচয়ে বেতন নিয়েছেন। সিগনেটরি জটিলতার কারণে বেতন বন্ধ করা যায়নি বলে তিনি দাবি করেন।

আখতারুজ্জামান জানান, ১৩ অক্টোবর মালিকানা ও পরিচালনা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব মেটাতে একটি আরবিট্রেশন বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুক্তার আহমেদসহ সদস্যরা আড়াই মাস তদন্ত চালান। সমাধান চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আগমুহূর্তে ‘দুষ্টচক্র’ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে হামলা চালায়।