পুলিশ কমিশনের আদলে একটি স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম ও মহাসচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি করছে। পুলিশ কমিশনের আদলে এটি প্রশাসনের জন্য একটি স্বাধীন আইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হবে। উক্ত কমিশন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা ইত্যাদি নিরপেক্ষভাবে নির্ধারণ করবে। কমিশন তার পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের দ্বারা গঠিত হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। প্রশাসন ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তার ওপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাদের পেশাদারত্ব বিনষ্ট করেছে। দেশের উত্তম প্রশাসন জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের এ প্রতিষ্ঠানটিকে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাব, পক্ষপাত ও অযাচিত হস্তক্ষেপমুক্ত থাকতে হবে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মতো একটি আধুনিক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ প্রশাসন কাঠামো গঠন এখন সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি করছে। পুলিশ কমিশনের আদলে এটি প্রশাসনের জন্য একটি স্বাধীন আইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হবে।
এ ছাড়া উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মতো একটি আধুনিক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ প্রশাসন কাঠামো গঠন এখন সময়ের দাবি। বর্তমান বাস্তবতায় প্রশাসনকে তার পেশাগত স্বাধীনতা ও আইনসম্মত দায়িত্ব পালনে বিভিন্নভাবে চাপ, প্রভাব ও অনাকাঙ্ক্ষিত নির্দেশনার মুখোমুখি হতে হয়, যা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, কর্মদক্ষতা ও জনবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, কর্মদক্ষতা ও জনবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।



