শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত অনেকে

রাজধানীর শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ |সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ১২০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে তাদের উপর এই হামলা চালানো হয়।

আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কেউ এখনো জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। আবার কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গণমাধ্যমে শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে পুলিশ গণমাধ্যমকে বলছে, শিক্ষকেরা বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়। এ সময় শিক্ষকদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবিগুলো হলো সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেয়া, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

সারা দেশ থেকে আসা কয়েক হাজার শিক্ষক ঢাকায় এসে আজ সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। বিকেলে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগে এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম এবং ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

অন্যদিকে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছে। তাদের দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

এ ছাড়া ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।