‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়ন ও এর আইনি ভিত্তি নির্ধারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট ও বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সে সকল বৈঠকে আলোচিত সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের পক্ষ থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো প্রকাশ করেছে কমিশন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে :
১. পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তার কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান।
২. রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতার বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা।
৩. নির্বাচনের মাধ্যেমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা।
৪. ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই সনদ বাস্তবায়ন করবেন।
৫. সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা।
৬. সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরণের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে : অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া।
পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ,২০২৫’-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চারভাবে বাস্তবায়নের জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন আলোচকরা। এগুলো হচ্ছে: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।
এছাড়াও, গত ১১ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
এর একটি হলো, সুপারিশের যেসব বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয় সেসব বাস্তবায়নের জন্যে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ জারি করতে পারে।
উল্লেখ্য যে, সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরণের কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যেই অধ্যাদেশ জারি এবং তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
সুপারিশের যেসব বিষয় সরকারি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আদেশ ও বিধি প্রণয়ণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করতে পারে।
উল্লেখ্য যে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ধরণের কিছু বিষয় ইতোমধ্যেই যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। বাসস