প্রেস সচিব

শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রেখেছে সরকার

‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোথাও ঝটিকা মিছিল বা সভা-সমাবেশ করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন
প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন |ছবি : পিআইডি

‘ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রেখেছে অন্তর্বর্তী সরকার’ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোথাও ঝটিকা মিছিল বা সভা-সমাবেশ করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে।’

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা ঢাকার কসাই; আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ। যারা ঝটিকা মিছিল বা সভা-সমাবেশ করতে চাইবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। যারা মিছিল করবেন বা মিটিং করবেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে সে নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে।’

ভারত থেকে হাসিনার দেয়া বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচি সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনা পাশের দেশে বসে কী করছেন, তা পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। শত শত মানুষকে হত্যা করায় শেখ হাসিনাকে ‘বুচার অব বেঙ্গল’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ—আইসিটিসহ সব জায়গায় নিষিদ্ধ। হাসিনার উসকানিতে যারা মিছিল-মিটিংয়ের মতো কার্যক্রমে অংশ নেবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিনাকে নানা বিষয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে, এমনকি তিনি জুলাই বিদ্রোহে যোগ দেয়া মানুষদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।’

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আগামী ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও তার দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করবে।

এ বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, রায়টি (হাসিনার বিরুদ্ধে) ঘোষিত হোক। তারপর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি ভারতের সাথে উত্থাপন করবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি দাবি করেন, জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে হাসিনার অপরাধের সুস্পষ্ট নথি রয়েছে এবং সাংবাদিকদের তা পড়ার অনুরোধ জানান।

গত ৬ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশরি বলেন, এটি একটি ‘বিচারিক আইনি প্রক্রিয়া’ এবং এ বিষয়ে দু’ দেশের সরকারের মধ্যে ‘আলোচনা ও পরামর্শ’ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে একসাথে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।’

এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলা এই মুহূর্তে ‘সংগত নয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ এবং সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন। ইউএনবি