ইসির ক্র্যাশ প্রোগ্রাম : ৬ মাসে নিষ্পত্তি ৯ লাখ এনআইডি সংশোধন আবেদন

বিভিন্ন কারণে এনআইডি লক করা হয়ে থাকে, বিশেষ করে অপব্যবহার রোধে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব মো: আখতার আহমেদ
ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব মো: আখতার আহমেদ |ইন্টারনেট

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চালু করা ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে মোট নয় লাখ সাত হাজার ৬৬২টি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, এ সময় এনআইডি সংশোধনের জন্য মোট নয় লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদন জমা পড়ে। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে মাত্র ৭৬ হাজার ৬৯৪টি। এতে এনআইডি সংশোধন নিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তি কমেছে বলে দাবি করেছেন ইসির সিনিয়র সচিব মো: আখতার আহমেদ।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব এ তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।

সচিব জানান, গত ১ জানুয়ারি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরুর সময় অনিষ্পন্ন আবেদন ছিল তিন লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৬টি। এর পর ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন করে জমা পড়ে আরো ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৫২০টি।

তিনি আরো বলেন, গত ছয় মাসে গড়ে প্রতি মাসে এক লাখ ৯২০টি আবেদন জমা পড়েছে। আমরা শুরুতে চিন্তা করেছিলাম এনআইডি সংশোধনের আবেদনকে ‘জিরো লেভেল’-এ নামিয়ে আনা যায় কি না। যদিও বাস্তবে সেটা পুরোপুরি সম্ভব নয়। কারণ প্রতিদিনই নতুন আবেদন জমা পড়ে, যা সাথে সাথে নিষ্পত্তি সম্ভব হয় না।

আখতার আহমেদ বলেন, অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা দীর্ঘদিন তিন লাখের নিচে নামানো যায়নি। কিন্তু ক্র্যাশ প্রোগ্রামে নিবিড় মনোযোগ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এ অভূতপূর্ব অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

ইসি সচিব জানান, আবেদনগুলো সংশোধনের মাত্রা অনুসারে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিল যাচাই করে শুনানির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধন করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১টি সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২০টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, আমার মনে হয় নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তির মাত্রা কমেছে। ছয় মাসে তুলনামূলকভাবে আবেদন সংখ্যাও কমেছে। আশা করছি, আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতি আরো সন্তোষজনক হবে এবং হয়রানির অভিযোগগুলোও থাকবে না।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু রাজনীতিকসহ অনেকের এনআইডি ‘লক’ করে রাখা হয়েছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে এনআইডি লক করা হয়ে থাকে, বিশেষ করে অপব্যবহার রোধে। এমনকি আমার এনআইডিও না কি লক করা আছে! কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য করাটা সঠিক নয়।’

সূত্র : বাসস