নতুন প্রজন্মকে মানবকল্যাণে বিশেষ অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আজকের প্রজন্মকে দ্বীনের সঠিক দাওয়াহর পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই প্রকৃত ইসলামি সমাজ গঠন সম্ভব হবে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর পুলিশ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের দাওয়াহ সম্মেলন এই আহ্বান জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষ। সংস্থার সভাপতি ও বেফাক মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি শুধু দাওয়াহ নয়, মানবকল্যাণেও বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। মানবতার সেবাই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা। এই সংগঠন দেশ-বিদেশে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের জন্য যে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে।
সংস্থার সহ-সভাপতি মুহসিন বিন মুঈন, নির্বাহী সদস্য তানবীরুল হাসান ও কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন মুফতি হারুন ইজহার, সাইফুর রহমান সাগর, শায়খ জসিম উদ্দীন রাহমানি, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি, মুফতি রেজওয়ান রফিকী, ড. মোহসিন রশিদ, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, অ্যাডভোকেট নাজমুস সাদাত, সংস্থার মহাপরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মাদ রাজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক আবুল কাইউম, আফগানিস্তান রাষ্ট্রদূতসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও রাজনতিক নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ইসলামের অন্যতম শিক্ষা হলো মানবসেবা। দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং নৈতিক সমাজ গড়ে তোলাই প্রকৃত দাওয়াহ। হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি দেশ ও দেশের বাইরে যে বিশাল সেবার কাজ করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের গাজায় হাফেজ্জী চ্যারিটেবল যেভাবে কাজ করছে, তা বাংলাদেশের জন্য গর্বের। বর্তমান সময়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা, ন্যায়বিচার এবং ঐক্যের প্রচারই ইসলামের দাওয়াহর মূল চেতনা।
সম্মেলনে আগত মেহমানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করে সংক্ষেপে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির কার্যক্রম তুলে ধরেন সংস্থার সভাপতি মুফতি মাহফুজুল হক। মানুষের জন্য সেবার কাজ আরো বেগবান করতে সবাইকে হাফেজ্জীতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনসহ বিশ্ব মুসলিমের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সবার প্রতি ধৈর্য, ত্যাগ ও ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সোসাইটির সেবামূলক কার্যক্রমের পর্যালোচনা, নতুন পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়।