বিজয় দিবস

সশস্ত্র বাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প ও বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনী

বিজয় দিবসকে আরো মহিমান্বিত ও আকর্ষণীয় করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় প্যারেড স্কয়ার, তেজগাঁওয়ে মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প এবং বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিজয় দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প ও বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনী
বিজয় দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প ও বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনী |বাসস

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প ও বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

আজ মঙ্গলবার বিজয় দিবসকে আরো মহিমান্বিত ও আকর্ষণীয় করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় প্যারেড স্কয়ার, তেজগাঁওয়ে মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প এবং বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

পাশাপাশি, সশস্ত্র বাহিনী উক্ত অনুষ্ঠানে একটি সমন্বিত ব্যান্ড পরিবেশনারও আয়োজন করে। আজ ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সশস্ত্র বাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল বাদ্য পরিবেশন করে এবং ঢাকার বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনীর সেনানিবাস, ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় সীমিত আকারে ব্যান্ড পরিবেশন করা হয়।

এছাড়া, বিমান বাহিনীও সীমিত আকারে ফ্লাই পাস্ট (খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নাটোর, বগুড়া, চট্টগ্রাম শহর ও ফৌজদারহাট এলাকা, কক্সবাজার এবং মাতারবাড়ী এলাকায়) পরিচালিত করে।

বিজয়ের ৫৪তম বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুর রহমান এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৫৩ জনসহ সর্বমোট ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাসহ ফ্রি ফল জাম্পের মাধ্যমে আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণ করেন। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং অদ্যাবধি এ ধরনের রেকর্ড গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে লিপিবদ্ধ হয়নি।

সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো এতো সংখ্যক পতাকাসহ ফ্রি ফল জাম্পের রেকর্ডটি গিনেস বুকে স্থান পেলে নি:সন্দেহে বাংলাদেশের জন্য এটি হবে ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

অন্য দিকে, এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় এবং ভাবমূর্তি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সাথে এই আয়োজন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে জাতীয় গৌরব ও আত্ম পরিচয়ের অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধীকারীগণ, ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থ্যানে আহত ব্যক্তিগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও বিএনসিসি ক্যাডেট এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহকারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।

এদিকে, দিবসটি উদযাপনে চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) এবং বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসি ঘাটে নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজসমূহ দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এছাড়াও, সামরিক জাদুঘরসহ বাহিনীত্রয়ের অন্যান্য জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য খোলা রয়েছে।

সূত্র : বাসস