রোববার সংলাপে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

শুক্রবার জাতীয় সংসদের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ |সংগৃহীত

জুলাই সনদ চূড়ান্তকরণ এবং কোন প্রক্রিয়ায় এটি বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করবে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন। তার আগে আগামী রোববার এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসবে কমিশন।

আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা জানান।

আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত এবং প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা দরকার। সেই লক্ষ্যে কমিশন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আগামী সপ্তাহে আলোচনা করবে।

তিনি বলেন, আশা করা যায়, এই প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গত দুই পর্বের আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে তাৎপর্য সংখ্যক সুপারিশ বা সংস্কার ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব হয়েছে। প্রথম পর্বের সংলাপে ১৬৫টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬২টি রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে। যার কিছু কিছু সরকার এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করেছে (অধ্যাদেশ, নীতি ও নির্বাহী সিদ্ধান্তে মাধ্যমে)। দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ২০টি সাংবিধানিক ইস্যূতে আলোচনা হয়। সেখানে ১১টি বিষয়ে সবদলের সমর্থনে জাতীয় ঐকমত্য এবং বাকি নয়টি বিষয়ে বেশিভাগ দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে, তাতে কোনো কোনো দলের ভিন্নমত উল্লেখ থাকবে। প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর বিরূপ মনোভাবের কারণ ২৫টি বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

এ সময় কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।