চলমান জাতীয় সঙ্কট মোকাবেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথ বাহিনী দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত ২৯ মে থেকে ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাতটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, তিন ধরনের গোলাবারুদ, তিনটি ককটেল বোমা, ছয়টি কার্তুজ, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন অপরাধ সংশ্লিষ্ট উপকরণ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, সেনাবাহিনীর টহল দল দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ ঠেকাতে সেনা সদস্যরা মালিক ও শ্রমিকদের সাথে সংলাপে অংশ নিচ্ছেন এবং বেতন-বোনাস পরিশোধে সমঝোতা নিশ্চিত করছেন।
আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এসব হাটে নজরদারি, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একই সঙ্গে ঈদযাত্রায় যানজট ও বিশৃঙ্খলা রোধে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে সেনাবাহিনীর বিশেষ টহল অব্যাহত রয়েছে। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধেও অভিযান চালানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও সার্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে। জনগণকে যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে জানানোর জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।’