ভোটকেন্দ্র হিসেবে ১২,৫৩১ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারে বরাদ্দ ৪১ কোটি

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হবে এমন ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কারের জন্য ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় |নয়া দিগন্ত গ্রাফিক্স

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিগগিরই মেরামত ও সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এসব বিদ্যালয়কে ভোটগ্রহণ-উপযোগী করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হবে এমন ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কারের জন্য ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পরিচালন বাজেটের ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ খাতের আওতায় এ অর্থ ব্যবহার হবে।

এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেটকৃত ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ খাতের মোট ৮০ কোটি টাকা থেকে। উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ অর্থ উত্তোলন ও ব্যয়ের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এলজিইডির প্রকৌশলীরা।

স্মারকে অর্থ ব্যয়ের জন্য কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সরকারের সব আর্থিক বিধি-বিধান মেনে এবং ভ্যাট পরিশোধের প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করে কাজ করতে হবে। অডিটের জন্য সমস্ত বিল ও ভাউচার সুরক্ষিত রাখতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মানসম্মতভাবে কাজ শেষ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের দায়ী করা হবে। অব্যয়িত অর্থ ৩০ জুন ২০২৬ এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হিসেবে বিভিন্ন জেলার ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবহারের তথ্য যাচাই করলে দেখা যায়, এগুলোর বেশিভাগের বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই, অনেকগুলোর দরজা ও জানালা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এসব প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার ও মেরামতের জন্য অর্থ উপদেষ্টার কাছে ১২৪ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে সম্প্রতি আধা সরকারি পত্র (ডিও) দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। বাসস