গণভোটের অধ্যাদেশ জারি

‘যে গণভোটটি হবে সে গণভোটটা কিভাবে গ্রহণ করা হবে সে প্রক্রিয়াটা গণভোট অধ্যাদেশে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় |নয়া দিগন্ত গ্রাফিক্স

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়।

এর আগে, দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভোট অধ্যাদেশ আকারে অনুমোদন দেয়া হয়। পরে বিকেলে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল জানান, আজ বা বুধবারের মধ্যে এর গেজেট নোটিফিকেশন হবে। রাতেই সেই অধ্যাদেশ জারি করল সরকার।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের অধ্যাদেশ নিয়ে আসিফ নজরুল জানান, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুসারে জুলাই সনদে বর্ণিত সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাবের বিষয়ে দেশের মানুষের মতামত বা সম্মতি জানার জন্য গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রণীত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যে গণভোটটি হবে সে গণভোটটা কিভাবে গ্রহণ করা হবে সে প্রক্রিয়াটা গণভোট অধ্যাদেশে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।’

যা আছে গণভোট অধ্যাদেশে :

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, গণভোটে নিম্নরূপ একটি প্রশ্ন উপস্থাপন করা হবে- আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?; (হ্যাঁ/না):

(ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

(খ) আগামী জাতীয় সংসদ হবে দু’ কক্ষবিশিষ্ট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

(গ) সংসদে নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ তফসিলে বর্ণিত যে ৩০টি বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্য হয়েছে- সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য থাকবে।

(ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যেসব ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে সেসব ভোটকেন্দ্রে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশন যে সব রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ ও অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করা হবে সেসব রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রে নিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।