শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ ক্রিম, বিভিন্ন প্রকার গার্মেন্টস পণ্য ও ইলেকট্রনিক্স এক্সেসরিজ জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, গত ১৮ অক্টোবর আমদানি কার্গোতে আগুন লাগার পরে কিছু দিনের জন্য আমদানিকারকদের সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়। আমদানিকারকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সরকার দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য একটি গেট (৮-আলফা) উন্মোচন করেন। আগে আমদানি করা সকল বাণিজ্যিক পণ্য স্ক্যানিং করা হলেও বর্তমানে গেট ৮-আলফায় কোনো স্ক্যানার মেশিন না থাকায় অনায়াসেই যেকোনো পণ্য বের করে নেয়া সম্ভব হয়।
কিছু অসাধু আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ’র কারসাজিতে এ সুযোগে নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। সেই তথ্যের সূত্র ধরে বিমানবন্দর গোয়েন্দা সংস্থা কিছু অসাধু আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফদের বিশেষ নজরদারিতে রাখেন এবং জানতে পারেন গত ৬ ডিসেম্বর সলিড এয়ারের কার্গো বিমানে দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট মুভ দু’টি শিপমেন্টে মোট ২০৬ কাটুর্ন কসমেটিক আমদানি করেন এবং এর মধ্যে নিষিদ্ধ ক্রিম, বিভিন্ন প্রকার গার্মেন্টস পণ্য ও ইলেকট্রনিক্স এক্সেসরিজ রয়েছে।
রোববার রাতে বিমানবন্দর গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এভসেক এবং কাস্টমস শিপমেন্ট দু’টি খালাসের আগেই চিহ্নিত করে সবগুলো কার্টুন সরেজমিনে খুলে পরীক্ষা করেন এবং আমদানি করা ২০৬ কার্টনের কসমেটিকের মধ্য থেকে ২৮৭৮ কেজি নিষিদ্ধ ক্রিম, বিভিন্ন প্রকার গার্মেন্টস পণ্য ও বিপুল পরিমাণে ইলেকট্রনিক্স এক্সেসরিজ জব্দ করেন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য দু’ কোটি ৮৪ লাখ ৯২ হাজার দু’ শ’ টাকা। জব্দকৃত সকল পণ্য কাস্টমস কর্তৃক ডিএম করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং অবৈধ ভাবে নিষিদ্ধ ক্রিম আমদানি করার দায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে প্রায়ই নিষিদ্ধ ক্রিম, সিগারেট, দামি মোবাইল ফোন যাত্রী ছদ্দবেশী চোরাচালানকারীরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমিও আনার চেষ্টা করে। দীর্ঘ দিন ধরে টার্মিনালে গোয়েন্দ সংস্থার তৎপরতা এবং তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এভসেক এবং কাস্টমস বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ক্রিম, মোবাইল ফোন সিগারেট জব্দ করলে চোরাচালানকারবারীরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে আমদানি কার্গো দিয়ে আমদানি করছেন।



