বিমান বিধ্বস্ত

বার্ন ইনস্টিটিউটে স্বজন-সহপাঠীদের আহাজারি

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এমন চিত্র দেখা গেছে। অভিভাবকরা ছুটে এসে সন্তানকে খুঁজছেন, শুধু পোশাক দেখে শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহাজারি করছেন আহতদের স্বজন ও সহপাঠীরা
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহাজারি করছেন আহতদের স্বজন ও সহপাঠীরা |সংগৃহীত

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ৬০-এর অধিক শিশুকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহাজারি করছেন আহতদের পিতামাতা, স্বজন ও সহপাঠীরা। ওয়ার্ডগুলোর সামনে বিলাপ করছেন তারা।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এমন চিত্র দেখা গেছে। অভিভাবকরা ছুটে এসে সন্তানকে খুঁজছেন, শুধু পোশাক দেখে শনাক্তের চেষ্টা করছেন। হাসপাতালের করিডোরে অসংখ্য অভিভাবক কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কেউ চিৎকার করছেন, কেউ হতবিহ্বল।

কয়েক মিনিট পর পর অ্যাম্বুলেন্স ঢুকছে বার্ন ইনস্টিটিউটে, আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে যাচ্ছে চারদিকের পরিবেশ।

মাইলস্টোনে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে সামিন। দুর্ঘটনার পর বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাকে। তার ভাই কান্নারত অবস্থায় বলেন, সামিনের অবস্থা খুবই খারাপ। আইসিইউতে ভর্তি আছে। ডাক্তার বলেছে ৫০ শতাংশ বাঁচার সম্ভাবনা আছে। এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

ইনস্টিটিউটের নিচ তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের সামনে স্বজনরা তাদের সন্তান, ভাই বা বোনদের খুঁজছেন। কেউ খুঁজে পেয়েছেন, কেউ এখনও পাননি। ওয়ার্ডগুলোর সামনে কান্না করছেন অভিভাবকরা।