দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

ধর্মীয় শিক্ষকসহ আরো কিছু পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগদানের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। |সংগৃহীত

ধর্মীয় শিক্ষকসহ আরো কিছু পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগদানের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) শিক্ষা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষা সচিব বরাবর তিনটি আলাদা ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) পাঠান তিনি। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শিক্ষা উপদেষ্টাকে পাঠানো পত্রে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘২০১৮ সালে সেপ্টেম্বরে মহান জাতীয় সংসদে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হয় এবং সেদিনই বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ আইনটি প্রণীত হওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কওমি অঙ্গনের শিক্ষার্থীরা উক্ত আইনের কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এতে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং কওমি অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।’

এ সময় তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। একইভাবে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টাকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা।

তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ধর্মীয় শিক্ষক পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দেয়ার জন্যও প্রতিরক্ষা সচিব বরাবর একটি আধা-সরকারি পত্র দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০ হাজারের বেশি কওমি মাদরাসা রয়েছে। এ সব মাদরাসা থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদ লাভ করে থাকেন।