মাওলানা রফিকুল ইসলাম আইনী দেশের ইসলামী রাজনীতির অঙ্গনে অতিপরিচিত একটি মুখ। বুদ্ধিদৃপ্ত নেতৃত্ব ও সাহসী ভূমিকার জন্য এরই মধ্যে তিনি নিজের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করে নিয়েছেন। বিগত সময়ে দেশ ও ইসলামবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠস্বর ও অবস্থান ছিল আপোসহীন।
মাঠে থেকে তার সশরীরে আন্দোলন-সংগ্রামের এই যে ধারাবাহিকতা জুলাই অভ্যুত্থানেও বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করা গেছে। অভ্যুত্থান চলাকালে তিনি ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং নিজের সহকর্মীদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনের রণাঙ্গনে।
অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মনোনীত হন। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠিত হলে ছাত্র জমিয়ত ছেড়ে এখানে যুক্ত হন।
বর্তমানে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও বিভাগীয় প্রধান (ময়মনসিংহ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রফিকুল ইসলাম আইনী অভ্যুত্থানে তার নানা অভিজ্ঞতা ও অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ ও তার আকাঙ্খা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে।

নয়া দিগন্ত : জুলাই অভ্যুত্থানে কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও লক্ষণীয় ব্যাপার। আপনি কিভাবে এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন?
রফিকুল ইসলাম আইনী : আমি উত্তরা আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলাম। বিশেষত ১৬ জুলাই, ১৮ জুলাই থেকে শুরু করে ৩, ৪, ৫ আগস্ট পর্যন্ত একনাগাড়ে নেতৃত্ব দিয়েছি। ১৮ তারিখ আহত হওয়ার পরেও ১৯ তারিখ ১২ নম্বর সেক্টর বাইতুন নুর জামে মসজিদ থেকে বাদ জুমা আমার উদ্যোগে প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশ করেছি। তারপর আবার বিএনেস সেন্টারে সমবেত হয়েছি সবাইকে নিয়ে। লংমার্চ টু ঢাকা প্রোগ্রামের দিন জনস্রোতকে সংগঠিত করে আমরা গণভবনের দিকে পায়ে হেঁটে অগ্রসর হয়েছি, যেখানে আমি ছিলাম সামনে থেকে নেতৃত্বে।
আমি শুধু উপস্থিতই ছিলাম না; বরং অনেক জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দিকনির্দেশনা দিয়েছি, বাস্তবায়ন করেছি। আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে আমি চেষ্টা করেছি একটি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পরিস্থিতিকে সামাল দিতে, যাতে একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণজোয়ারকে সংগঠিত শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। আমি এটিকে শুধু রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কর্তব্য নয়; বরং ঈমানি দায়িত্ব হিসেবেই অনুধাবন করেছি।
নয়া দিগন্ত : মাঠপর্যায়ে আপনার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাই। আপনার এই অংশগ্রহণকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

রফিকুল ইসলাম আইনী : এই অভ্যুত্থান ছিল জীবনের বড় এক পরীক্ষা। এখানে শুধু নেতৃত্ব নয়, মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। ১৯ জুলাই শহীদ হাফেজ সাদিক ওয়ারিসের লাশ খুঁজে না পাওয়ায় আমি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তার লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এটি ছিল আমার জীবনের এক গভীরতম দুঃখময় অভিজ্ঞতা। আন্দোলনের প্রতিদিন আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি নিজের হাতে। বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়াই। নিরাপত্তা না থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর ওপর ভরসা করে জনতার ভরসা হয়ে মাঠে ছিলাম। আন্দোলনের মাঠে পুলিশ ছাত্রলীগ সেনাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আহতদের সরিয়ে নিতে হয়েছে, আবার কখনো নিরাপদ আশ্রয়ে নারী-শিশুদের স্থানান্তর করেছি।
দিনের পর দিন নিজের বাড়িতে না থেকে বিভিন্ন গুপ্ত স্থানে রাত কাটাতে হয়েছে। শুধু নিজের নিরাপত্তার জন্য নয়, সংগঠনের প্রয়োজনেও দিনরাত ছোটাছুটি করেছি। এই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ আমি শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়; বরং আদর্শিক এবং ঈমানি দায়িত্ব হিসেবে দেখেছি। জীবনের এই অধ্যায়টা আমাকে বুঝিয়েছে—কোনো আদর্শের জন্য দাঁড়ানো মানে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ঈমান ও জিহাদের সাক্ষ্য দেয়া।

নয়া দিগন্ত : কওমি মাদরাসার ৪২ জন শহীদের এই ত্যাগের বিনিময় কি আপনারা পেয়েছেন? তাদের স্মরণে কী পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করেন?
রফিকুল ইসলাম আইনী : সত্যি বলতে, আমরা এখনো তাদের রক্তের প্রকৃত মূল্য পাইনি।
শহীদরা শুধুই কওমি অঙ্গনের নয়; বরং গোটা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ত্যাগ জাতীয়ভাবে মূল্যায়ন না হলে আমাদের ইতিহাসই অপূর্ণ থেকে যাবে। তাদের নাম রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত হওয়া দরকার, তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিতে হবে, শহীদদের নিয়ে গবেষণা-নথি সংরক্ষণ করা উচিত।
শুধু তা-ই নয়, পাঠ্যপুস্তকে এই ঘটনাগুলোর বিবরণ সংযোজন করে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করা জরুরি। আমরা চাই, একদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ শহীদদের নামেই স্মরণীয় হোক। কারণ, তাদের ত্যাগ জাতির নৈতিক ভিত্তিকে পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ।
নয়া দিগন্ত : আন্দোলনে নিহতদের হেফাজতকর্তৃক ‘শহীদ’ ঘোষণা আন্দোলনে কী প্রভাব ফেলেছিল?
রফিকুল ইসলাম আইনী : ‘শহীদ’ শব্দটি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে পূণ্যময় এক দোলা দিয়ে যায়। এটি কেবল একটি টাইটেল বা উপাধি নয়; বরং আত্মত্যাগের সর্বোচ্চ স্তরের সম্মানজনক স্বীকৃতি। এই ঘোষণা আন্দোলনে মানুষের মনোবল বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। মাঠে উপস্থিত মানুষগুলো যেন একটি নতুন জাগরণে উজ্জীবিত হয়েছিল। শহীদদের মর্যাদা ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেয়ার সেই সিদ্ধান্ত মাঠে জনতার চেতনায় একটি নতুন গতি এনেছিল। হঠাৎ করে সবার মধ্যে একধরনের ঈমানি স্পৃহা দেখা দেয়—যেন নিজেদের জীবন দান করাও হয়ে ওঠে এক গৌরবের বিষয়। এই মনস্তাত্ত্বিক শক্তিই আন্দোলনের গতিপথ বদলে দেয়। গণহারে মানুষ শাহাদাতের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।

নয়া দিগন্ত : গণঅভ্যুত্থানে কওমি আলেমদের অংশগ্রহণে দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কি পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন?
রফিকুল ইসলাম আইনী : অনেকের ধারণা ছিল কওমিরা কেবল দেওবন্দিধারার পড়াশোনা নিয়ে, ওয়াজ নসিহত মিলাদ ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এই অভ্যুত্থানে কওমি ছাত্র-শিক্ষকরা প্রমাণ করেছেন, তারা শুধু ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা নিয়ে মগ্ন নন; বরং জাতীয় পর্যায়ে জাতির ক্রান্তিকালে নেতৃত্ব, সাহস ও ত্যাগের নজরানাও পেশ করেন। এটি এক ধরনের সামাজিক স্টেরিওটাইপ ভাঙার ঘটনা ছিল। সাধারণ মানুষ কওমি অঙ্গনের প্রতি যে ভুল ধারণা পোষণ করত, তা বদলে যায়। এই অংশগ্রহণ মানুষের মাঝে কওমি অঙ্গনের গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। এখন অনেকেই বুঝতে পারছে—আলেমরা শুধু ফতোয়া দেন না; বরং দেশের সঙ্কটে তারা জাতির সাহস ও অভিভাবকত্বের ভূমিকা পালন করতে পারেন।
নয়া দিগন্ত : রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
রফিকুল ইসলাম আইনী : প্রতিদিনের নিত্যসঙ্গী ছিল আতঙ্ক। টিয়ারশেল, গুলি, গ্রেফতারের হুমকি, অনলাইনে অফলাইনে টার্গেটেড নজরদারি– সব ছিল আমাদের জীবনের অংশ। কেউ নিরাপদ ছিল না—নেতা হোক, কর্মী হোক বা সাধারণ অংশগ্রহণকারী। আমার নাম-পরিচয়সহ সবকিছু গোয়েন্দাসংস্থার কাছে ছিলো। বিভিন্নভাবে হুমকি এসেছে, গ্রেফতারের হুমকিও পেয়েছি।
অনেক সময় পরিচয় গোপন করে অবস্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। তবুও পিছু হটিনি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানেই সঠিক পথে থাকা। ভয়কে জয় করেই এগোতে হয়, আর আমরা সেটাই করেছি। আমরা আমৃত্যু মিছিলেই আছি, আর এ শহীদি মিছিল থেকে পিছু হটার কোনো রাস্তা আমাদের জানা নেই।
নয়া দিগন্ত : আন্দোলনে অংশগ্রহণে কওমি ছাত্র-শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা কী ছিল? কেন তারা একাত্মতা ঘোষণা করলেন?
রফিকুল ইসলাম আইনী : তাদের অনুপ্রেরণা ছিল রাসুলুল্লাহ সা:-এর আদর্শ, ইসলামের ইনসাফ ধারণা, দেশপ্রেম এবং দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ধর্মীয় দায়িত্ববোধ। বলা হয়েছে, জালিম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ। তারা বয়ানের মিম্বার থেকে জনগণকে উজ্জীবিত করেছেন। এই অনুপ্রেরণা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছে। কোনো দলের পক্ষে নয়; বরং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর ডাকেই তারা সাড়া দিয়েছেন। নানাভাবে তারা প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। একজন ইমামের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়— ‘যত বেশি পারেন ছাত্রলীগের মুর্দা হাজির করেন, জানাজা পড়ানোর দায়িত্ব আমার’, যা আন্দোলনের ভেতর এক নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেয়। তারা কোনো দল বা রাজনৈতিক জোট দেখে আসেননি—তারা এসেছিলেন ইনসাফের পক্ষে, দায় ও দরদ নিয়ে ভ্রাতৃত্ববোধের জায়গা থেকে তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়াতে। এটা ছিল ঈমানি দায়বদ্ধতার ফল, যা রাজনীতির ক্ষুদ্র সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
নয়া দিগন্ত : নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকা অবস্থায় মাঠের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ কিভাবে হতো?
রফিকুল ইসলাম আইনী : আমরা মুখে-মুখে সংবাদ আদান-প্রদান করতাম। পরস্পর আসা-যাওয়া ও সাক্ষাতের মাধ্যমে আদান-প্রদান করতাম।এটি আমাদের ঐতিহ্যবাহী দাওয়াতি কৌশলের আধুনিক রূপ। বিশ্বস্ত দূতদের মাধ্যমে নির্দেশনা পৌঁছানো হতো। প্রত্যেকটি মাদরাসায় এমন কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ ছিল যারা নির্দেশনা গোপনে পৌঁছে দিতো। অনেক ক্ষেত্রেই মোবাইল ছাড়াও দাওয়াতি পদ্ধতিতে লোক সমাগম সম্ভব হয়েছে। এই কৌশল ভবিষ্যতের আন্দোলনেও অনুকরণীয় হতে পারে।
নয়া দিগন্ত : কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কিভাবে মাঠপর্যায়ে পৌঁছাতো?
রফিকুল ইসলাম আইনী : আমাদের টিম দিনে বা গভীর রাতে সিদ্ধান্ত নিতো। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তা নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মাঠে পৌঁছে যেত। কৌশলগতভাবে আমরা দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছিলাম, যাতে নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিলম্বিত না হয়। দল নিরপেক্ষ হলেও কৌশলগত সমন্বয় ছিল অত্যন্ত গোছানো। আমি নিজেই উত্তরা জোনে মূল দায়িত্বশীলদের মধ্যে ছিলাম—নির্দেশনা মাঠে পৌঁছে দিতাম, প্রয়োজনে নিজে উপস্থিত হয়ে বাস্তবায়ন করতাম। মুখে মুখে কিংবা ম্যাসেজে আবার কখনো বিএনেস সেন্টারে মাইকে ঘোষণা করতাম।
নয়া দিগন্ত : বিভিন্ন মত ও সংগঠনের মধ্যে ঐক্য কিভাবে সম্ভব হয়েছিল?
রফিকুল ইসলাম আইনী : এই ঐক্যের পেছনে দু'টি বড় শক্তি ছিল—এক, শহীদের রক্ত; দুই, ইসলামী মূল্যবোধ।
আমাদের চেতনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল নৈতিক ও ঈমানি দায়বদ্ধতা। সবার ভেতরে ছিল একটাই চেতনা—এই আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি নৈতিক ও ঈমানি লড়াই।
এই অভিন্ন চেতনায় ভিন্ন সংগঠন ও মতাদর্শের লোকজনও এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছিল। এটা ছিল বিরল এক ঐক্য—যেখানে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সবাই একটি বৃহত্তর আদর্শের পেছনে সমবেত হয়েছিল।
নয়া দিগন্ত : আপনি ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান? কওমি নেতৃত্বের কী ভূমিকা থাকবে বলে আশা করেন?
রফিকুল ইসলাম আইনী : আমি এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে ইনসাফ থাকবে, ইসলামী মূল্যবোধে সমাজ গঠিত হবে, আলেমরা জাতির বিবেক হয়ে কাজ করবে। দুর্নীতি, বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমাজ রুখে দাঁড়াবে। যেখানে দিল্লি কিংবা ওয়াশিংটনের প্রভুত্ব চলবে না। কওমি অঙ্গনের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শুধু মিম্বার ও মাদরাসায় নয়; বরং জাতীয় পর্যায়ে, সামাজিক আন্দোলনে ও রাষ্ট্রপর্যায়ে অবদান রাখবে– এই আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি, কওমি নেতৃত্ব যদি নীতিনিষ্ঠ ও দূরদর্শী থাকে, তবে তারা এই জাতিকে এক নতুন আদর্শিক ভিত্তিতে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।