ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক শিক্ষার সাথে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো গেলে সমাজ পরিবর্তন করা যায়। ধর্ম ব্যতীত শিক্ষায় মানুষ বিপদগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের সভাকক্ষে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের সব উন্নত দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে উপাসনালয় রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার সাথে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় করা না হলে মানুষ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। শিক্ষা থেকে ধর্মকে আলাদা করা হলে ডাকাত তৈরি হবে, মাস্তান তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা বিদায় নেব। তবে পুরানো জাহেলি যুগ আর ফিরে আসবে না।
ড. খালিদ বলেন, এদেশকে দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে হলে আল্লাহওয়ালাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। অন্তরে যাদের আল্লাহভীতি রয়েছে এবং যাদের চরিত্র ইস্পাতের মতো শক্ত ও অটুট তাদেরকে নির্বাচিত করতে হবে। ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে হোক অথবা দূরবর্তী ভবিষ্যতে হোক বাংলাদেশ একটি আদর্শিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। এজন্য তরুণ ও যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদরাসাটির প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম আযহারীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. মমতাজ উদ্দীন কাদেরী, অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির খালভী, উম্মা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি আবুল কালাম আল আজাদ, আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা সুহাইল সালেহ ও কোর্টহিল জামে মসজিদের খতিব শয়েখ নাসির উদ্দীন প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। অন্যান্যের মধ্যে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার পরিচালক মুফতি মাসউদুর রহমান বক্তব্য দেন।
পরে উপদেষ্টা ২০২৫ সালে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার হিফয বিভাগের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
সূত্র : বাসস



