নৈতিক ও মূল্যবোধের প্রচারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের দাবি : ধর্ম উপদেষ্টা

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মুফতি তারিক মাসউদ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
কথা বলছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
কথা বলছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন |সংগৃহীত

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান তরুণ সমাজ প্রযুক্তি নির্ভর। তাদের মাঝে ইসলামের অমূল্য বাণী পৌঁছাতে হলে প্রযুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য হয়। আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স, ভিডিও, শর্ট ক্লিপ, ইসলামিক অ্যানিমেশন ইত্যাদি তাদের আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মারকাজুল ফুরকান শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ইসলামি দাওয়াহ কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খালিদ বলেন, ভাষা ও ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে দাওয়াত পৌঁছানো সম্ভব। অনলাইন অনুবাদ, সাবটাইটেল, ও মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়াল কনটেন্ট ব্যবহার করে ভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যেও দাওয়াত পৌঁছানো যায়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাওয়াতি বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সট্রাগ্রাম ও এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারের মাধ্যমে দাওয়াত বহুগুণে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। এতে দাওয়াতি কার্যক্রমে ব্যাপকতা আসবে। একসময় যেখানে একজন দাঈ একসাথে কেবল একটি মজলিসে কথা বলতে পারতেন, এখন সেই একই বক্তব্য লাইভ বা রেকর্ড আকারে কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সফর করে দাওয়াত পৌঁছাতে খরচ, সময় ও শ্রম লাগে। কিন্তু জুম, গুগল মিট বা ওয়েবিনারের মাধ্যমে ঘরে বসেই দাওয়াতি কার্যক্রম চালানো সম্ভব। অনলাইন বই ও ভিডিও ব্যবহার করে কম সময়ে বেশি জ্ঞান বিতরণ করা যায়।

তিনি বলেন, বর্তমান যুগে দাওয়াত ও তাবলীগের কার্যক্রমে প্রযুক্তির ব্যবহার কোনো বিলাসিতা নয়; বরং একটি অপরিহার্য বাস্তবতা। ইসলামের দাওয়াতকে যুগোপযোগী করতে এবং বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে প্রযুক্তি একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তবে এর ব্যবহারে জ্ঞান, সংযম ও নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মুফতি তারিক মাসউদ।