সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৮৬০৬ হাজি

সৌদি আরব বাংলাদেশী হাজিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হাজি
হাজি |ইন্টারনেট

পবিত্র হজ পালন শেষে এ পর্যন্ত মোট আট হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশী হাজি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন।

হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে ফেরা হাজিদের মধ্যে ৮৩৭ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং সাত হাজার ৭৬৯ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনার আওতায় ছিলেন।

এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে এক হাজার ৪০, সৌদি পতাকাবাহী সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তিন হাজার ১৮৫ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে চার হাজার ১২ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।

এ পর্যন্ত মোট ২২টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের, আটটি সাউদিয়ার, এবং ১০টি ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের।

এদিকে, সৌদি আরব বাংলাদেশী হাজিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটির মেডিক্যাল সেন্টারগুলো এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৮০৯টি অটোমেটেড প্রেসক্রিপশন ইস্যু করেছে এবং আইটি হেল্পডেস্কগুলো ২০ হাজার ৩০৯টি সেবা প্রদান করেছে।

দুঃখজনকভাবে, এ পর্যন্ত ২৩ জন বাংলাদেশী হাজি সৌদি আরবে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং দু’জন নারী। এদের মধ্যে ১৫ জন মক্কায়, সাতজন মদিনায় এবং একজন আরাফাতে মারা গেছেন। জেদ্দা, মিনায় বা মুজদালিফায় কোনো মৃত্যু ঘটেনি।

সৌদি আরবের সরকারি হাসপাতালগুলো এ পর্যন্ত ১৯৩ জন বাংলাদেশী হাজিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে এখনো ২৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত ২৯ এপ্রিল প্রথম ফ্লাইটের মাধ্যমে এ বছরের হজ কার্যক্রম শুরু হয় এবং ৩১ মে শেষ হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের হজের জন্য ৭০টি হজ অ্যাজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার ২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন।

সৌদি আরব থেকে হাজিদের দেশে ফেরার কার্যক্রম ১০ জুন শুরু হয়েছে এবং তা ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

হজ ব্যবস্থাপনা অফিস জানায়, কর্তৃপক্ষ সব হাজির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে চলমান এ কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যসেবার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।

সূত্র : বাসস

Topics