পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দেশের জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের ছুটি চলাকালীন সময়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার (৬ জুন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ফর্মেশনের ইউনিটগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন ও টহল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। কোরবানির পশুর হাটগুলো চাঁদাবাজমুক্ত এবং নিরাপদ রাখতে সেনাবাহিনীর টহল দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে শহর থেকে গ্রামে যাত্রার সময় সাধারণ জনগণের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও সংযোগ সড়কে তল্লাশি ও নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। টিকেট কালোবাজারি রোধেও সেনাবাহিনী অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয়ে কাজ করছে। এছাড়া, ঈদের দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ঈদগাহে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ঈদ-উল-আজহা উৎসব আনন্দের পাশাপাশি ত্যাগের মহান শিক্ষা বহন করে। দেশের কোটি মানুষ যখন প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে গ্রামে ছুটে যাচ্ছে, তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে—পাহাড়ে, দুর্গম অঞ্চলে, বন্যাদুর্গত এলাকায় এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে—বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দৃঢ়তার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তারা অনেকেই পরিবার-পরিজনের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত থাকলেও দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিচল রয়েছেন। এই ত্যাগ ঈদ-উল-আজহার তাৎপর্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সেনাবাহিনীসহ অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এই নিষ্ঠা ও ত্যাগের কারণেই দেশের মানুষ নির্ভয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারছে।
ওই পোস্টের শেষের দিকে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সদা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের যেকোনো তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট প্রদান করতে সকলের নিকট আহ্বান জানানো হয়।