যুবদল নেতা হত্যা

গণপিটুনিতে আহত মোক্তারের ডিবি কার্যালয়ে মৃত্যু

‎এ ঘটনায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো: সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ প্রশাসন। কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরপুরে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা
মিরপুরে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা |সংগৃহীত

রাজধানী মিরপুরে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গণপিটুনির শিকার আহত মোক্তার হোসেন ডিবি কার্যালয়ে মারা গেছেন। ডিবি কার্যালয়ে থাকা অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করা হলে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মোক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পরবর্তী সময়ে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে মামলার অগ্রগতির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি তাদের সহযোগী মোক্তার হোসেনের কাছে রয়েছে বলে জানান।

ডিএমপির ‎ডিসি দাবি করেন, আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন সন্ধ্যায় ডিবির একটি টিম রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় কৌশলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দিতে থাকলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তার দেখানো মতে পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে পিস্তলের আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

ডিসি জানান, আটকের পর মোক্তার হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে কিছু ওষুধ দিয়ে চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দিলে আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় তাকে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করা হলে কোনো সাড়া না পাওয়ায় শিগগিরই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

‎এ ঘটনায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো: সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ প্রশাসন। কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।