বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নয়া দিগন্ত প্রতিষ্ঠা থেকে সামাজিক দায়বদ্ধতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফ্যাসিবাদের সময়েও তারা সাহসিকতার সাথে কলম ধরেছে, টিমটিম করে হলেও গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রেখেছিল। অনেক পত্রিকা হারিয়ে গেলেও নয়া দিগন্ত টিকে থেকেছে- এটাই তাদের কৃতিত্ব।’
আজ শনিবার দৈনিক নয়া দিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দুই-চার কলাম লেখার জন্য আমাকে প্রায় সাড়ে নয় বছর নির্বাসনে থাকতে হয়েছে, আয়না ঘরে থাকতে হয়েছে, নির্যাতনে কারাগারে থাকতে হয়েছে। কিন্তু কখনো সংগ্রামের পথ থেকে পিছিয়ে যাইনি।’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমি ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ভাই পিজি হাসপাতালের প্রিজনসেলে ছিলাম। করোনারি কেয়ার ইউনিটের একটি সেলে আমাদের রাখা হয়েছিল। আমরা একে অপরকে দেখতে পেতাম। তিনি তখন অনশন করছিলেন। আমি অনেক বুঝিয়েছিলাম, আপনি মারা গেলে শেখ হাসিনা খুশি হবে- দয়া করে অনশন ভঙ্গ করুন। পরে মুরুব্বিরা গিয়ে ছয়-সাত দিন পর তিনি অনশন ভঙ্গ করেন।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজ আমরা ছাত্রদের অভ্যুত্থানের গৌরবময় ইতিহাস শুনলাম, রক্তঝরা দিনগুলোর স্মৃতি মনে করলাম। এই অতীতের ভিত্তিতেই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। আমাদের সন্তানদের জন্য একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে। মতাদর্শে ভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যদি আমাদের অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটে, জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
শেষে তিনি আহ্বান জানান, ‘আমাদের সন্তানদের রক্তের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’



