‘ভুয়া’ সনদ দিয়ে চাকরির অভিযোগ তদন্তের জন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) মো: নজরুল ইসলামকে আগামীকাল রোববার সচিবালয়ে তলব করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চাকরি পাওয়ার জন্য নিজেই একটি ভুয়া ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট তৈরি করেন। অথচ যে প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি সনদ দেখিয়েছেন—‘মিতালী ফিল্ম স্টুডিও’—এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব দেশে কোনো দিনই ছিল না। সার্টিফিকেটটি নজরুল ইসলামের নিজের হাতে লেখা। এ বিষয়ে অতীতে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও সেগুলো পরিচালনা করেছেন তার অনুগত কর্মকর্তারা। ফলে তদন্তের ফলাফলেও স্বচ্ছতা পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি অধিদপ্তর তদন্ত করে। তারা বলেছে, “মিতালী ফিল্ম স্টুডিও’’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়নি, এমনকি আবেদনও জমা পড়েনি।”
সনদে প্রদত্ত ঠিকানা "এইচ-৭০, আমতলী, মহাখালী, ঢাকা-১২১২" নামে কোনো প্রতিষ্ঠান মহাখালী এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আর একটি অভিযোগ, তিনি কখনো আওয়ামী লীগ আবার কখনো বিএনপির লোক বলে নিজেকে পরিচয় দেন।

চাকরির আবেদনপত্রের সাথে জমা দেয়া নজরুল ইসলামের সনদ
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, অভিযোগটি বেনামি। এ বিষয়ে এর আগে দু’বার তদন্ত করা হয়েছে। দু’বারই অভিযোগ অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, নিয়োগ বিধিতে ডিপ্লোমার কথা বলা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা লাগবে এ ধরনের কোনো শর্ত ছিল না।
তিনি বলেন, আমার ডিপ্লোমাটি আড়াই মাসের নন একাডেমিক ডিপ্লোমা। আমি কখনো কোথাও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ডিপ্লোমার কথা বলিনি।
তিনি আরো বলেন, এর আগে রাজধানীর মহাখালীর স্থানীয়রা “মিতালী ফিল্ম স্টুডিও’’ নামের প্রতিষ্ঠানের সত্যতার কথা লিখিতভাবে তদন্ত কমিটিকে জানান। মসজিদ নির্মাণের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটিকে উঠিয়ে দেয়া হয়।
তবে পরে প্রতিষ্ঠানটি কোথায় স্থানান্তর করা হয়েছে সেটি জানাতে পারেননি তিনি। অবশ্য স্থানীয়দের স্বাক্ষরযুক্ত ডকুমেন্টটি তার সংরক্ষণে আছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।’