বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএআরএফ)-এর সদস্য এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলকে একটি মামলায় জড়ানোয় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএআরএফ। একই মামলায় ডিআরইউ’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএআরএফ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজ এবং সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম তাদেরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিএআরএফ’র দফতর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ অক্টোবর রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আমলী-রামপুরা) মো: সালাউদ্দিন মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ মোট ১৭৬ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় ১৭৪ নম্বরে ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলকে এবং ১৭৩ নম্বরে ডিআরইউ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেনকে আওয়ামী লীগ নেতা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সাংবাদিক সমাজের কাছে অগ্রহণীয়।
সাংবাদিক নেতা সোহেলকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর উদ্বেগ জানিয়ে বিএআরএফ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মাইনুল হাসান সোহেল একজন পেশাদার সাংবাদিক, দায়িত্বশীল সংগঠক ও স্বচ্ছ পরিচয়ের অধিকারী। প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনও দীর্ঘদিন ধরে দেশের রিপোর্টারদের শীর্ষ সংগঠন ডিআরইউতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে দেখানোর কোনো প্রমাণ নেই, এমন অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা পাওয়ারও সুযোগ নেই।’
বিবৃতিতে সবুজ ও কাওসার অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মহল এই দুইজনকে মামলায় জড়িয়েছে। যা পরিষ্কারভাবে হয়রানির শামিল।
বিএআরএফ কার্যনির্বাহী কমিটি অবিলম্বে মামলাটি মাইনুল হাসান সোহেল এবং সোলাইমান হোসেনের নাম বাদ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।



