সংসদ ভবনে হামলা : মামলায় আসামি ৯ শতাধিক, গ্রেফতার ১

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে শেরেবাংলা নগরে পুলিশের সাথে জুলাইযোদ্ধাদের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন আহত হন। পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও কন্ট্রোল রুমে অগ্নিসংযোগসহ চারটি মামলায় ৯ শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রিমন চন্দ্র বর্মনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Location :

Dhaka
য়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়
য়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় |প্রতীকী ছবি

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিন পুলিশের সাথে জুলাইযোদ্ধাদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৯ শতাধিক। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিমন চন্দ্র বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা থানায় পুলিশ এসব মামলা করে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেন শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক।

চারটি মামলার একটি হলো সংরক্ষিত এলাকায় জোরপূর্বক প্রবেশের মামলা। অপরগুলো হলো পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও কন্ট্রোল রুম পোড়ানোর মামলা।

শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাইযোদ্ধাদের একাংশ জুলাইযোদ্ধাদের স্বীকৃতি, শহীদ ও আহতদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত, সুরক্ষা আইন ও তাদের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে- এই তিন দফা দাবি নিয়ে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টায় কয়েক শ’ লোক গেট ভেঙে সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানস্থল সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার ভেতরে ঢুকে যায়। প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হবে এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করে পুলিশ। তবে তারা পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে। এরপর লাঠিপেটা করে বের করা হয় তাদের।

এমন পরিস্থিতিতে জুলাইযোদ্ধা ও পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ সদস্যদের মারধর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও কন্ট্রোল রুমে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জুলাইযোদ্ধারা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ১০ জন ও জুলাইযোদ্ধাদের ৩৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।