বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের সদস্যগণের অখালাসকৃত ৩১টি গাড়ি হস্তান্তর

নির্ধারিত শুল্ক ও কর পরিশোধ না করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। তবে কোনো নিলামকারী যৌক্তিক মূল্য বিড না করায়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এসব উচ্চমূল্যের গাড়ি জনস্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যগণের আমদানিকৃত ৩১টি অখালাসকৃত গাড়ি হস্তান্তর
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যগণের আমদানিকৃত ৩১টি অখালাসকৃত গাড়ি হস্তান্তর |ইন্টারনেট

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যগণের আমদানিকৃত ৩১টি অখালাসকৃত গাড়ি জনস্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদফতরে হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ বুধবার এক বিশেষ আদেশে এনবিআর এ নির্দেশনা জারি করেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের কয়েকজন সদস্য বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত গাড়িগুলোর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বলে পূর্ব নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে জানায় যে এসব গাড়ি খালাসের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হারে শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হবে।

উক্ত ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক ও করের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ছয় শ’ টাকা। এর মধ্যে একক গাড়ির সর্বোচ্চ প্রদেয় শুল্ক-কর নয় কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার তিন শ’ টাকা এবং সর্বনিম্ন আট কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার চার শ’ টাকা।

এনবিআর জানায়, নির্ধারিত শুল্ক ও কর পরিশোধ না করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। তবে কোনো নিলামকারী যৌক্তিক মূল্য বিড না করায়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এসব উচ্চমূল্যের গাড়ি জনস্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশেষ আদেশে আরো বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কোনো আমদানিকারক যদি আইনানুগভাবে প্রযোজ্য শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে চান, তাহলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়ন সম্পর্কিত আইন, বিধি ও আদেশ অনুযায়ী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে। তবে সেই ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি যানবাহন অধিদফতর গাড়িগুলো ফেরত প্রদান করবে।

সূত্র : বাসস