বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, বিমানবাহিনীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নততর প্রশিক্ষণ সুনিশ্চিত করার জন্য সংযোজন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ বিমান ও সিমুলেটর।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মক্ষেত্র ও চাহিদা বিস্তৃত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে করা হয়েছে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী। আমাদের সবার গর্বের বিষয় যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমির প্রশিক্ষণ মানের সুনাম আজ আন্তর্জাতিক মহলেও পরিচিতি লাভ করেছে। বিমানবাহিনীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে বহু দেশী-বিদেশী সামরিক বাহিনীর সদস্য।
বৃহস্পতিবার অবস্থিত বিমানবাহিনী একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বিমানবাহিনীর ৮৭তম বাফা কোর্স, ডিরেক্ট এন্ট্রি-২০২৫বি এবং এসপিএসএসসি-২০২৫বি কোর্সের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মক্ষেত্র ও চাহিদা বিস্তৃত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে করা হয়েছে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী। আমাদের সবার গর্বের বিষয় যে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমির প্রশিক্ষণ মানের সুনাম আজ আন্তর্জাতিক মহলেও পরিচিতি লাভ করেছে। বিমানবাহিনীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে বহু দেশি-বিদেশি সামরিক বাহিনীর সদস্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনা ও নৌ বাহিনীর বৈমানিকরা বিমান বাহিনী একাডেমি থেকে সাফল্যজনকভাবে উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এ একাডেমি থেকে এ যাবৎ সফলতার সাথে ৩০ জন বিদেশী ফ্লাইট ক্যাডেট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। এতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল ও সুদৃঢ় হয়েছে।
বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। তিনি গ্র্যাজুয়েটিং অফিসারদের মাঝে পদক এবং ফ্লাইং ব্যাজ বিতরণ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অফিসার ক্যাডেট নাফীস রাফীদ ৮৭তম বাফা কোর্সের প্রশিক্ষণে সার্বিক কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অব অনার’, অফিসার ক্যাডেট মো: সাদিক ইসলাম তামীম উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে সেরা কৃতিত্বের জন্য ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি’ এবং অফিসার ক্যাডেট জান্নাতুল ইসরাত সাবা জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের জন্য ‘কমান্ড্যান্টস্ ট্রফি’ লাভ করেন।
এছাড়াও ৮৭তম বাফা কোর্স (গ্রাউন্ড ব্রাঞ্চ) এ সেরা কৃতিত্বের জন্য অফিসার ক্যাডেট নুসরাত বিনতে ইসলাম নাইস ‘বিমানবাহিনী প্রধানের ট্রফি’ লাভ করেন।
উল্লেখ্য, এই শীতকালীন টার্মে বীর উত্তম বদরুল আলম স্কোয়াড্রন চ্যাম্পিয়ন বিবেচিত হয়ে একাডেমি পতাকা লাভ করে।
এ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আটজন নারী অফিসার ক্যাডেটসহ মোট ৪০ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। অফিসার ক্যাডেট একাডেমি সিনিয়র আন্ডার অফিসার তানজিম উল ইসলাম আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
কুচকাওয়াজ শেষে বিমান বাহিনী একাডেমির বিভিন্ন প্রকার বিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট, আকর্ষনীয় এ্যারোবেটিক ডিসপ্লে এবং বিমান বাহিনীর চৌকশ প্যারাট্রুপারদের হেলিকপ্টার থেকে দৃষ্টিনন্দন প্যারা জাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কুটনৈতিক মিশনের সদস্য, সামরিক ও অসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।



