ভারতের সাথে একটি চুক্তি বাতিল, কিছু পর্যালোচনায় আছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘এখন পর্যন্ত শুধু একটি চুক্তিই বাতিল করা হয়েছে। সেটি হলো টাগবোট কেনার চুক্তি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নয়।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন |ফাইল ছবি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত ভারতের সাথে একটি চুক্তি বাতিল করেছে, আর আদানি বিদ্যুৎ চুক্তিসহ কয়েকটি চুক্তি পুনর্বিবেচনা বা বাতিলের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শুধু একটি চুক্তিই বাতিল করা হয়েছে। সেটি হলো টাগবোট কেনার চুক্তি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নয়। টাগবোট কেনার চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তটি ঢাকা ও নয়াদিল্লির পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই নেয়া হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার বর্তমানে আদানি বিদ্যুৎক্রয় চুক্তি এবং ভারতের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি)-এর আওতায় বাস্তবায়িত কয়েকটি প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করছে। ভারত-অর্থায়িত কিছু প্রকল্প বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে তেমন বাস্তবসম্মত বা সুবিধাজনক নয় মনে হওয়ায় সেগুলোও পর্যালোচনায় রয়েছে।’

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় ভারতকে পাঠানো বাংলাদেশের প্রতিবাদের জবাবও এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় ভারতের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের আইনে এমন কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। আমরা বিচার দাবি করেছি এবং আশা করি, ভারত আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে স্বাভাবিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী। স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এমন সফরকে আমরা স্বাগত জানাই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে সীমিত করা হয়েছিল। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে, আমরা সে দিকেই এগোচ্ছি।’

জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা হ্রাসের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট হ্রাসের ফলেই এই হ্রাস করা হয়েছে। বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ ঢাকাকে অবহিত করেনি, এমন অভিযোগ নাকচ করে দেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা হ্রাস যাতে আনুপাতিক মাত্রার নিচে থাকে, তা নিশ্চিত করতে ঢাকা জাতিসঙ্ঘেরে সাথে যোগাযোগ করে আসছে।’ বাসস