ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

‘তাদের উদ্দেশ্যেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার সংশ্লিষ্টতা থাকার কোনো অবকাশই নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব |সংগৃহীত

মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। এর সাথে এনইআইআর বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

এ বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেটের লাগাম টানতে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সাথে বিটিআরসি বৈঠকও করেছে। এতো কিছুর পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার ওপর দায় চাপিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তাদের উদ্দেশ্যেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার সংশ্লিষ্টতা থাকার কোনো অবকাশই নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে, এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই সাংবাদিককে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘সাংবাদিক মিজানুর রহমানের সাথে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও এমন ‘প্রোপাগান্ডা’ মুক্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকেই ভুলুণ্ঠিত করছে। আমরা মনে করি, এ ধরনের অসত্য তথ্য প্রচার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাই আশা করি, এরপর আর কেউ এ ধরনের লেখায় বিভ্রান্ত হবেন না।’ বাসস