ইউনেস্কো কনফারেন্সে কবি নজরুলকে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাবি শিক্ষক মুমিত

‘বিশ্ব সাহিত্যে সুর ও আত্মার মেলবন্ধনে হাফিজ শিরাজী ও কাজী নজরুল ইসলাম : একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শিরোনামে ফারসি ভাষায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. মুমিত আল রশিদ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ড. মুমিত আল রশিদ
ড. মুমিত আল রশিদ |নয়া দিগন্ত

পারস্যের বিখ্যাত কবি হাফিজ শিরাজীর জন্মবার্ষিকীর ৭০০ বছর পূর্তিতে প্যারিসের ইউনেস্কো হাউসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক ও সাহিত্যিক কনফারেন্সে বাংলাদেশ থেকে ইউনেস্কো রিপ্রেজেন্টেটিভ তাজিকিস্তানের অতিথি হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মুমিত আল রশিদ।

এই কনফারেন্সটি চলবে ১১ জুন থেকে ১৩ জুন ২০২৫ পর্যন্ত। আয়োজনে রয়েছে ইউনেস্কো, রুদাকি অ্যাসোসিয়েশন অব প্যারিস এবং তাজিকিস্তান। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের সন্তান ড. মুমিত আল রশিদের লিখিত প্রবন্ধটি উপস্থাপনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

কনফারেন্সে তিনি কবি হাফিজ শিরাজীর সাথে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আত্মিক মেলবন্ধনের যোগসূত্র নিয়ে ‘বিশ্ব সাহিত্যে সুর ও আত্মার মেলবন্ধনে হাফিজ শিরাজী ও কাজী নজরুল ইসলাম : একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শিরোনামে ফারসি ভাষায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

এ প্রসঙ্গে ড. মুমিত আল রশিদ বলেন, ‘আমি সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের সাথে ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের কবিদের মিল-অমিলের সম্পর্ক, প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-বিচ্ছেদ, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি খোঁজার চেষ্টা করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ভাষা ও সাহিত্যকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সগুলোতে, এমনকি ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং-এর সেরা জার্নালগুলোতে আমরা আমাদের দেশের স্বনামধন্য কবি-সাহিত্যিকদের কর্ম ও জীবন সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারি।’

উল্লেখ্য, ড. মুমিত গত ৮-১০ মে, চীনের সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটি, ইংল্যান্ডের বাথ ইউনিভার্সিটি ও আজারবাইজানের খাজার ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিলোসফি অব ল্যাঙ্গুয়েজ, লিটারেচার ও লিঙ্গুইস্টিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স’-এ অংশ নেন। এই কনফারেন্সে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃত ভাষার বিখ্যাত গ্রন্থ পঞ্চতন্ত্র-এর পাহলাভি, আরবি ও ফারসি ভাষায় অনুবাদ বিশ্লেষণ করেন।

ইতোমধ্যে তিনি স্পেন, ইরান, আজারবাইজান, তাজিকিস্তানের সেমিনারে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। দেশ-বিদেশে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ২৩ এবং প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৭।

এছাড়া বাংলাদেশের টেলিভিশনের জন্য ৩৬টি ইরানি চলচ্চিত্র এবং ছয়টি ইরানি মেগা সিরিয়াল বাংলায় অনুবাদ করেন। তার উল্লেখযোগ্য সিরিয়ালগুলো হচ্ছে ইউসুফ-জুলেখা, আসহাবে কাহাফ, বিবি মরিয়ম, ঈসা নবী, কারবালা কাহিনী।

ইতোমধ্যে তিনি ইরান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে দু’টি সিনেমার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সর্বশেষ বাংলাদেশের সুপারস্টার জয়া আহসান অভিনীত ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ফেরেশতে’র চিত্রনাট্যকার হিসেবে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন।