পোস্টাল ভোট

কারাগারে থাকা ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইসির নির্দেশ

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বুধবার ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রন্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন |সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে কারাগার বা আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ভোটদানের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বুধবার ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রন্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮, (সংশোধন ২০২৫) এর বিধি ১০ক এর আলোকে বাংলাদেশের কোন জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে আটক থাকা কোন ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যা ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) নামে অভিহিত, ভোট প্রদান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে কারা-অন্তরীণ বা আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬ এ ভোটদানের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

(ক) কারাগার বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষের অধীনে অন্তরীণ ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দু’জন করে ব্যক্তিকে মনোনীত করবেন, যার মধ্যে একজন অপারেটর হিসেবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পাদন করবেন। প্রতি জেলখানার অনুকূলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) -এ দু’টি ইউজার অ্যাকাউন্ট দেয়া হবে যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলখানায় অন্তরীণ ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

(খ) কারাগার বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক অন্তরীণ ভোটারগণের তালিকার প্রিন্টেড বা মুদ্রিত কপি সীল ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরসহ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট উইং/দপ্তর/অনুবিভাগ-এ প্রেরণ করবেন।

(গ) কারাড়ার বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদেয় তালিকা অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক অন্তরীণ ভোটারগণের ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিবন্ধন প্রক্রিয়া উপ অনুচ্ছেদ (ক) তে উল্লিখিত মনোনীত ব্যক্তি সম্পন্ন করবেন। এ লক্ষ্যে, তিনি পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক সকল কারা অন্তরীণ ভোটারগণের নিবন্ধনের জন্য সংলগ্নি ‘ক’ অনুযায়ী তথ্য .xls /.csv ফরম্যাট এ কমিশন প্রদত্ত প্ল্যাটফর্মে আপলোড করবেন।

নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, কারা/আইনি হেফাজতে অন্তরীণ নিবন্ধিত ভোটারগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম পাবেন। ভোটারগণ নির্বাচন কমিশন হতে প্রাপ্ত বহির্গামী খামে (ফরম-৯ক) নিম্ন বর্ণিত উপকরণ পাবেন।

একটি পোস্টাল ব্যালট সম্বলিত খামে (ফরম-১০ক) (ক) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পেপার (ফরম-৭) ও (খ) গণভোট, ২০২৬ এর পোস্টাল ব্যালট পেপার (ফরম-২)।

এক পৃষ্ঠায় ভোট প্রদানের নির্দেশাবলী (ফরম-১১) এবং অপর পৃষ্ঠায় ঘোষণাপত্র (ফরম-৮) সম্বলিত একটি পৃথক কাগজ; এবং সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত একটি ফেরত খাম (ফরম-১০খ)।

প্রত্যেক ব্যালট পেপারে একটি স্বতন্ত্র শনাক্তকারী নম্বর থাকবে। ভোটারদের খামসমূহের ছজ কোড স্ক্যান/প্রাপ্তি স্বীকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি সম্পন্ন করবেন।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কারাগার বা আইনি হেফাজতে অন্তরীণ নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত স্থানে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যথাযথভাবে ভোট প্রদানের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট ভোটারকে কারাগার বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটারের নিজ নিজ আসনের প্রার্থীদের নাম-প্রতীক সম্বলিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার কপি মূদ্রণ করে সরবরাহ করবেন।

এক্ষেত্রে, ভোটের গোপনীয়তা রক্ষার্থে তাদের ভোট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ায় প্রেরিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে সকল প্রতীক মুদ্রিত থাকবে যার প্রতিটি প্রতীকের পাশে ফাকা ঘর/চেক বক্স মুদ্রিত থাকবে। কোনো প্রার্থীর নাম মুদ্রিত থাকবে না।

ভোট প্রদানের জন্য নির্দেশিকাতে প্রদত্ত পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে (ফরম-৭) মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে এবং গণভোটের ব্যালট পেপার এর হ্যাঁ/না-এর পাশে ফাকা ঘর/বক্স এ টিক চিহ্ন কিংবা ক্রস চিহ্ন, যে কোনো একটি প্রদান করবেন। ভোটাধিকার প্রয়োগের আগে ভোটাররা নির্দেশনাপত্র ও ঘোষণাপত্রটি পড়ে ঘোষণাপত্রে ভোটারের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে স্বাক্ষর করবেন। যদি ভোটার স্বাক্ষরদানে অক্ষম হয়ে থাকেন তবে ওই ঘোষণাপত্রটি (ফরম-৮) অন্য একজন ভোটার কর্তৃক সত্যয়ন করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, ভোটার পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট চিহ্নিত করার পর শুধুমাত্র ব্যালট পেপার দু’টি ছোট খামে (ফরম-১০ক) রেখে খামটি বন্ধ করবেন। অতঃপর ওই ব্যালট পেপার সম্বলিত খামটি এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণপত্রটি রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে (ফরম-১০খ) প্রবেশ করিয়ে তা বন্ধ করে বন্ধকৃত খামটি সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে/বাক্সে জমা করবেন। উভয় খামই সেলফ এডহেসিভযুক্ত থাকবে ফলে সেলফ এডহেসিভ অংশের উপরিভাগের টেপটি খুলে নিলেই খাম বন্ধ হবে। এছাড়া, ওই খামটি পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল প্রেরককে প্রদান করতে হবে না। এটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিশোধিত থাকবে।

নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কারাগার বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ প্রদেয় ভোটসহ পোস্টাল ব্যালটের সকল খাম সুরক্ষিত ভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং যতদ্রুত সম্ভব পোস্টাল ব্যালট সম্বলিত সকল খামসমূহ উক্ত এলাকার ডাক বিভাগের নিকট প্রেরণ/হস্তান্তর করবেন। ওই এলাকার ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি কারাগার বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালট সম্বলিত খামসমূহ দ্রুততার সাথে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাসস