ড. শাহ নিসতার জাহান কবির

চব্বিশের আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক দাবির নয়

রাজপথে ছাত্রদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ নিসতার জাহান কবির। নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা বলেছেন তিনি।

রাজপথে পতাকা হাতে ড. শাহ নিসতার জাহান কবির
রাজপথে পতাকা হাতে ড. শাহ নিসতার জাহান কবির |সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের দিনগুলোতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ছাত্র-জনতার ঢল ও প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু। '২৪ এর এ আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক দাবির নয়, নৈতিক প্রতিরোধ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক জ্বলন্ত নিদর্শন। এ আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে ভূমিকা রেখেছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে ওঠার মতো।

সেই সময়ে রাজপথে ছাত্রদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ নিসতার জাহান কবির। নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা বলেছেন তিনি।

তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন মেহেদী হাসান।

নয়া দিগন্ত : শিক্ষক হিসেবে জুলাই ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করা- এই সিদ্ধান্তটি কীভাবে নিলেন?

ড. শাহ নিসতার জাহান কবির : আমি যখন দেখলাম, আমার ছাত্ররা রক্তাক্ত, নিপীড়িত, তখন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমার দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি। সেই মুহূর্তেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম, কোন পক্ষের হয়ে আমাকে দাঁড়াতে হবে। একজন শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোটা আমার নৈতিক দায়িত্ব। সেটিই আমি পালন করেছি।

আমি নিজে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই। আমি শুধু অপেক্ষা করছিলাম- আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর কিংবা প্রশাসনের কেউ কথা বলবেন, প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু সবাই চুপ। নিরবতা বজায় রেখেছেন। অথচ আমি নিশ্চিত, যদি উল্টো ঘটনা ঘটত, যদি অভিযোগ থাকত যে ছাত্রলীগের উপর হামলা হয়েছে—তাহলে তাদের প্রতিক্রিয়া এতটা ধীর হতো না, বরং সাথে সাথে তারা সরব হয়ে উঠতেন।

Nister-Jahan-Kabir-02

আমার শত শত ছাত্র-ছাত্রীকে যেভাবে রক্তাক্ত করা হচ্ছিল, সেটি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। একজন শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও এটা আমার বিবেক মানতে পারেনি।

আমার বয়স হয়েছে, আমার অনেক বন্ধু এই বয়সেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছে। আমি ভাবলাম, আমার জীবন যদি এই আন্দোলনে, আমার ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে শেষও হয়ে যায়, তবুও আফসোস থাকবে না। কারণ, তখন আমি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো একজন শিক্ষক হিসেবে মরব।

নয়া দিগন্ত : সে সময় শিক্ষকদের প্রত্যয় স্কিম আন্দোলন চলছিল। তারপরও ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে অংশ নেয়ার পেছনে আপনার মূল প্রেরণা কী ছিল?

ড. শাহ নিসতার জাহান কবির : প্রত্যয় স্কিম নিঃসন্দেহে সরকার চাপিয়ে দেয়া একটি অন্যায় সিদ্ধান্ত ছিল। আমি সেই ইস্যুতেও আমার সহকর্মীদের সাথে আন্দোলনে ছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, আমি তো খেতে পারছি কিছু কম হলেও মারা যাব না। আরেকজনকে তো মেরেই ফেলছে।

এখন আমি নিজের খাওয়াটা নিয়ে বসে থাকবো নাকি তাকে সেভ করব। এটা এমন যে, কেউ পানিতে পড়ে ডুবে যাচ্ছে, আমি তাকে রক্ষা করব নাকি তার ধর্ম জিজ্ঞেস করবো যে হিন্দু না মুসলিম।

শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে কিন্তু তাদের উপর তো কোনো আঘাত আসেনি। ছাত্রদের তো তারা মেরেই ফেলছে। এখন তো আমি বলতে পারি না আগে আমার বেতন বাড়ান তারপর ছাত্রদের দেখব।

সেই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল, আমি একজন শিক্ষক, আর আমার ছাত্ররা অন্যায়ভাবে আক্রান্ত। সেটাই ছিল আমার মূল প্রেরণা।

নয়া দিগন্ত : আন্দোলনের সময় সার্বিক পরিস্থিতি কেমন মনে হয়েছিল?

ড. শাহ নিসতার জাহান কবির : আমি এক ধরনের ট্রমার মধ্যে ছিলাম। একদিন একজন আমাকে বলল, তুমি তো ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট দিচ্ছো, সাবধানে থেকো। তখন সে জানত না, আমি শুধু পোস্টে নয়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি আমার ছাত্রদের পাশে। এই কথা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।

আমি আমার দুই সন্তানের কথা ভাবলাম। যদি আমাকে গ্রেফতার করা হয়, চাকরি চলে যায়—তাহলে তাদের কী হবে? একজন বাবা হিসেবে সেটাও ভাবতেই হয়।

আরেকটা ভয় আমাকে গ্রাস করেছিল—যদি পুলিশের গুলি চলে, তারা কি আমার মতো সাদা চুলওয়ালা মানুষকে গুলি করবে! না, করবে ছাত্রদের। ওরা তরুণ, সাহসী, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ওরাই থাকে। তখন মনে হলো- আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে কথাও বলতে পারব না।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন একে একে বন্ধ হয়ে গেল, মনে হলো সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। ছাত্ররা ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে, আন্দোলন হয়তো থেমে যাবে। সত্যি বলতে, মনে হচ্ছিল আমরা ফেল করে যাচ্ছি। কিন্তু সেই সময়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যখন সাহস করে রাস্তায় নেমে দাঁড়ালো, তখন আবার আশার আলো দেখতে পেলাম। বুঝলাম, আমরা একা নই। এই প্রজন্ম এখনো জেগে আছে। তাদের কিন্তু কোটার প্রয়োজন ছিল না। তারা নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসলো।

নয়া দিগন্ত : শিক্ষক হিসেবে আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণে আপনি কি কোনো অতিরিক্ত চাপ বা সংকটে পড়েছিলেন? কীভাবে তা মোকাবেলা করেছেন? অন্য শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

ড. শাহ নিসতার জাহান কবির : আমি সব সময় ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। এটা ছিল আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ। এটা শিক্ষকদের অনেকে মেনে নিতে পারেননি। এমনকি আমার ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে অনেক শিক্ষক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, একাডেমিক কাউন্সিলে নালিশও গেছে। তখন ভেবেছিলাম, আমার উপর যদি লাঞ্ছনাও আসে, আসুক। শেষ বয়েসে একটা দায় তো নিতেই হয়। যদি আন্দোলন ব্যর্থ হতো, আমার এই সাংবাদিকতা বিভাগ আমাকে হয়তো আর গ্রহণ করত না।

Nister-Jahan-Kabir-03

আমরা যখন সফল হলাম, তখন যেখানে আমাকে হিরো বানানোর কথা ছিল, সেখানে আমাকে মাইনাস করার চেষ্টা চলেছে। আমার মনে হয় আন্দোলন ব্যর্থ হলে যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষকের চাকরি যেত, সেই শিক্ষকটা আমি হতাম।

সেই সময়ে আমি শিক্ষকদের মধ্যে একা ছিলাম। আন্দোলনের আগে-পরে কেউ কেউ বলেছে, তোর তো ভিসি হওয়ার কথা, উপদেষ্টা হওয়ার কথা! এভাবে আমাকে খাটো করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি সবসময় বলি, সিংহের কোনো দল থাকে না, দল থাকে নেড়ি কুকুরদের। এটা আমার অবস্থান, আমার বিশ্বাস।

আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের একটা কথা বলি, সমস্ত অসৎ মানুষ দলবদ্ধ থাকে। আমি বিশ্বাস করি, একজন শিক্ষক হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার নৈতিকতা। সেটাকেই আঁকড়ে ধরেছি।

অনেকে আজও বলে, আপনার প্রাপ্তি কী? আমি সোজাসুজি বলি, আমি কোনো প্রাপ্তির জন্য নামিনি।

যারা আজ আমাদের পক্ষ নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা সেই সময় কোথায় ছিলেন? এরা দুর্দিনে একবারও কথা বলেনি, শুধু এখন ফলভোগ করছে।

ছাত্রদের পক্ষে কথা বলার জন্য খুব বেশি সাহসের প্রয়োজন ছিল না। তবুও কেউ কথা বলেনি। অথচ আমি বলেছি, কারণ আমি ছাত্রদের কাছ থেকেই অনেক কিছু শিখেছি। ওদের মধ্যে সাহসের যে সমন্বয়, সেটা আমি আমার শিক্ষকজীবনে আর কোথাও দেখিনি। আমার শুধু একটাই ভয় ছিল, যদি ব্যর্থ হই, তবে এই ছেলেমেয়েরা কেউ ক্লাসে ফিরতে পারবে না।

আমি ছাত্রলীগকে চিনি যদি আন্দোলন ব্যর্থ হতো তবে এরা অর্ধেক ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্লাসে ফিরতে দিতো না। এ ছাত্রলীগের জন্যই আমি ক্লাসে লেকচার দিতে পারতাম না ভালোমতো। এরা বিভিন্নভাবে আমাকে গালিগালাজ করত। আর আমার কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে নালিশ করত।

সবচেয়ে কষ্ট পাই, যখন দেখি আমারই কিছু ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া শিক্ষকদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে লেখে, প্রিয় অভিভাবক…! এই জিনিসগুলো আমাকে খুব ব্যথিত করে। মনে হয়, এরা কি সত্যিই তখন আন্দোলনে ছিল!

নয়া দিগন্ত : ছাত্রদের সাথে আন্দোলনে আপনি কীভাবে সমন্বয় করেছেন? তারা কি আপনার সঙ্গে আলাপ করে কর্মসূচি দিত, নাকি আপনি তাদের কর্মসূচি অনুসরণ করতেন?

ড. শাহ নিসতার জাহান কবির : আমি সবসময় ছাত্রদের পাশে ছিলাম, কিন্তু তাদের সাথে বসে আলাদাভাবে পরিকল্পনা করে আন্দোলনে নামিনি। বরং ছাত্রদের যে কর্মসূচি ছিল, সেটাকেই আমি সম্মান করেছি এবং অনুসরণ করেছি। আমি শাহবাগে ছিলাম, শহীদ মিনারে ছিলাম, সিটি কলেজের পাশে অবস্থান করেছি। যেখানে ছাত্ররা ছিল, সেখানেই গিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকতে, তাদের সহযোগিতা করতে।

একদিন এক ছাত্র আমার কাছে এসে একটা পানির বোতল চাইল। আমি সেটা দিয়ে দিলাম। সে বলল, আঙ্কেল, ধন্যবাদ। আমি বলেছিলাম, ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নেই। পানির বোতল যে কেউ দিতে পারে। কিন্তু পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়াতে সবাই পারে না।

ছাত্রদের আন্দোলনটাই ছিল মুখ্য। আমার অবদান ছিল শুধুই একজন সহযাত্রী হিসেবে। তারা যা করছিল, আমি মনে করি সেটা সময়ের দাবি, ন্যায়ের দাবি। আমি শুধু দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি ।

নয়া দিগন্ত : আন্দোলনের কোন ঘটনা আপনাকে আজও গভীরভাবে নাড়া দেয়?

ড. শাহ নিসতার জাহান কবির : আসলে এমন কোনও একক ঘটনা নেই যা আলাদা করে বলব। পুরো আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্তই ছিল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। প্রতিটি ঘটনার মধ্যে ছিল একটা বিবেক জাগানিয়া তীব্রতা।

একজন রিকশাচালক, যার নিজের অবস্থাই নাজুক, সে ১৫ টাকার একটা পানির বোতল কিনে একজন আন্দোলনকারীকে দিল। এই মুহূর্তটাই কি অসাধারণ না? কিংবা একজন মা-বাবা, যাঁরা জানতেই পারেননি তাঁদের সন্তান আন্দোলনে আছে, নাকি হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে, এই বাস্তবতা, এই নিঃশব্দ আত্মত্যাগ আমাদের সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী চিত্র।

সত্যি বলতে, যখন দেখেছি সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিল, তখন বুঝলাম, এই জাতিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। এগুলো আমার মনে অমলিন স্মৃতি হয়ে আছে।

তবে, একটা বিষয়ে রাগ হয়। যারা আন্দোলনের সময় চুপ ছিলেন, আমাদের পাশে ছিলেন না। তারাই এখন পুরস্কার নিচ্ছেন, বড় বড় পদে বসছেন। কেউ কেউ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, কেউ বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান। অথচ তখন যারা রাস্তায় ছিল, তারাই আজ উপেক্ষিত।

আমি বলি, কাউকে পূজা করার দরকার নেই, নিজের কাজ নিজে করলেই যথেষ্ট।

নয়া দিগন্ত : অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী ছিল?

ড. শাহ নিসতার জাহান কবির : আসলে খুব বেশি কিছু আশা করিনি। করিনি বললেও ভুল হবে। প্রত্যাশা ছিল দুর্নীতিবাজরা শাস্তি পাবে, ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডেদর বিচার হবে। টাকা পাচারের বিচার হবে, হত্যার বিচার হবে। কিন্তু এখন কেউ আর হাসিনার বিচার চাই না, হত্যার বিচার চাই না, সবাই শুধু নির্বাচন চায়।

নির্বাচন তো আমিও চাই। যারা আমানতের খেয়ানত করল তাদের শাস্তি কোথায়? যারা হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেললো তাদের শাস্তির কথা কেউ বলে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে যাকে এনেছিলাম তিনি অত্যন্ত গুণী মানুষ। কিন্তু তাকে আমরা কাজই করতে দিলাম না। মাত্র এক মাসের মাথায় আমরা বলতে শুরু করলাম দেশ চলছে না। ১৬ বছর দেশ চলে নি! কই কোন কথা তো বলিনি আমরা। এক মাসের মাথায় ইলেকশন চাওয়া শুরু করলাম। ১৬ বছর কি ইলেকশনের কথা আমাদের মনে ছিল না।

কেউ বলল না আমার ছাত্র মেরেছে, আপনারা বিচার করেন। তারপর নির্বাচন। মনে হয় তাদের কাছে এতগুলো মৃত্যুর কোনো মূল্য নেই।

অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আশান্বিত ছিলাম কিন্তু এখন হতাশার যথেষ্ট কারণ আছে।

নোট: মেহেদী হাসান নয়া দিগন্তে ইন্টার্নি করছেন।