বিআরটিসি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেছেন, ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের সব গাড়ি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে হবে। গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এবং বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেয়া যাবে না।
সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন-বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয় পরিবহন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ সংক্রান্ত সার্বিক প্রস্তুতি ও অগ্রগতি বিষয়ে ডিপোভিত্তিক বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় সাধারণ যাত্রীরা যেন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে বাড়ি আসা-যাওয়া করতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ঈদ সার্ভিসে যাত্রীসেবা দেয়া কোনো গাড়ি যেন রাস্তায় বন্ধ হয়ে না যায়- সেজন্য কারিগরি বিভাগ থেকে যাত্রা শুরু আগের দিনই প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে সনদ দিতে হবে।
প্রতিটি গাড়িতে চালকের নাম, মোবাইল নম্বর, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, প্রধান কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের নম্বর সম্বলিত স্টিকার লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে করে যাত্রীরা যে কোনো সমস্যার বিষয়ে বিআরটিসিকে অবগত করতে পারে। যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন এবং এ সমস্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে প্রধান কার্যালয়সহ সব ডিপো ইউনিটে ২৪/৭ কন্ট্রোল রুম (টেলিফোন: 02 41053042, মোবাইল: 01324293974) চালু করা হয়েছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে ঘরমুখো মানুষের সহজ, সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারও ৩ জুন থেকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি।
গত ২৪ মে থেকে বিআরটিসির সংশ্লিষ্ট ডিপো থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রয় শুরু হয়েছে এবং আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদ সার্ভিস এর বাস চলাচল করবে। এবারের ঈদ যাত্রায় নিয়মিত বাস রুটের বাইরে শুধু ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ এর জন্য প্রায় সাড়ে ছয়শ’ বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিআরটিসি’র নতুন চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় কর্পোরেশনের পরিচালক প্রশাসন ও অপারেশন রাহেনুল ইসলাম, পরিচালক কারিগরি কর্নেল কাজী আইয়ুব আলী, জিএম, ডিজিএম, অপারেশন বিভাগের কর্মকর্তাসহ কর্পোরেশনের সকল ডিপো ও ইউনিট প্রধানগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।



