প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের নিবন্ধনে ইসির পরিপত্র

পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভোটারগণ অনলাইনে আবেদন করে ভোট প্রদানের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
‘পোস্টাল ভোট বিডি’
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ |সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভোটারগণ অনলাইনে আবেদন করে ভোট প্রদানের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার ইসি সচিবলায়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে প্রবাসী বাংলাদেশী ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের (আইটি সাপোর্টেড) মাধ্যমে ভোটদানের জন্য নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি উদ্বোধন করেন।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত আবেদনকারী ভোটারগণের তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে তাদের বিদেশের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হবে। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দ হলে ভোটাররা অ্যাপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থী তালিকা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদান করবেন। অতঃপর, প্রদত্ত ভোটের ব্যালট ফিরতি খামে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বরাবর ডাকযোগে প্রেরণ করবেন। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধিত ভোটার ব্যালট পেপার প্রেরণের অগ্রগতি অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

নিবন্ধনের সময়সীমা : ১৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ হতে প্রবাসী বাংলাদেশী ভোটারগণ সংযুক্ত সিডিউল (সংযুক্তি-১) মোতাবেক ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে ভোট প্রদানের নিমিত্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

ভোটদানের নিবন্ধন পদ্ধতি : নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ভোটার যে দেশ থেকে ভোট দিতে ইচ্ছুক কেবলমাত্র সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

পোস্টাল ব্যালট প্রাপ্তি এবং ভোট প্রদানের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।

ব্যবহারকারী বাংলা/ইংরেজি যেকোনো একটি ভাষা নির্বাচন করে অ্যাপে নিবন্ধনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নির্দেশাবলী সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিদেশে ব্যালট প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে নির্ভুল ঠিকানা দিতে হবে।

ভোটারের নিকট পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ : ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধিত সকল ভোটারের কাছে পর্যায়ক্রমে ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধিত ভোটাররা প্রদত্ত ঠিকানায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রেরিত পোস্টাল ব্যালটসহ খাম পাবেন। খাম প্রাপ্তির পরপরই ভোটারগণ ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপ এ লগইন করে খামের উপর প্রদত্ত কিউআর কোডটি স্ক্যান করবেন। এতে তিনি যে ব্যালট পেপারটি হাতে পেয়েছেন তা সিস্টেমে সনাক্ত হবে।

রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রেরণ : পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ায় প্রেরিত ব্যালট পেপারে সকল প্রতীক মুদ্রিত থাকবে যার প্রতিটি প্রতীকের পাশে ফাকা ঘর রয়েছে। ভোটাধিকার প্রয়োগের আগে ভোটাররা নির্দেশনাপত্র পড়ে ঘোষণাপত্রে যথাযথভাবে ব্যালট পেপারের ক্রমিক নম্বর, ভোটারের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে প্রদত্ত স্থানে স্বাক্ষর করবেন। নিরক্ষর/অক্ষম ব্যক্তি অন্য একজন বৈধ ভোটারের সাহায্যে ফরম-৮-এর সংশ্লিষ্ট অংশ পূরণ করত: সত্যয়ন করে স্বাক্ষর করবেন। এই ঘোষণাপত্র/সত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ছাড়া ব্যালট পেপারটি বৈধ হিসাবে গণ্য হবে না।

(খ) প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হলে অ্যাপ-এর মাধ্যমে অথবা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট হতে ভোটাররা অবগত হবেন।

ভোট প্রদানের জন্য ভোটাররা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপ-এ লগইন করে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীদের তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশিকাতে প্রদত্ত পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারে (ফরম-৭) মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক চিহ্ন কিংবা ক্রস চিহ্ন প্রদান করবেন। এরপর রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় খামটি ডাকযোগে দ্রুত প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। রিটার্নিং অফিসার ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালটের খামগুলো প্রাপ্তির পর তার ওপর প্রদত্ত ছজ কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে প্রাপ্ত রেকর্ড রাখবেন। পোস্টাল ব্যালট পেপার গণনার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি গণনা কক্ষ প্রস্তুত করা হবে। বাসস