রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা-২০২৫।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং মুসান্নিফ গ্রুপের স্পন্সরে আয়োজিত এবারের মেলা দেশী-বিদেশী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে পেয়েছে নতুনমাত্রা।
১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। রয়েছে ১৯৯টি স্টল। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, নেতৃস্থানীয় ইসলামী পুস্তক ব্যবসায়ী ছাড়াও মিসর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বইমেলা আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে।
কোরআন-হাদীসের গ্রন্থ, ইসলামী গবেষণা, সমকালীন চিন্তাধারা, শিশুদের ইসলামী বই, সাহিত্য ও ইতিহাস—সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় সংগ্রহের পসরা সেজেছে এ মেলায়। প্রতিদিনই নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, লেখক-পাঠক আড্ডা, ক্বিরাত ও হামদ-নাত পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রায় প্রতিদিনই প্রখর রৌদ্র বা বৃষ্টি সত্ত্বেও দর্শনার্থীদের ভিড়ে উপচে পড়ে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রকাশক থেকে শুরু করে ক্রেতা, সবাইকে দেখা যায় বইয়ের প্রতি গভীর আগ্রহে মগ্ন থাকতে।
রাহনুমা প্রকাশনীর মাহমুদুল হাসান তুষার জানান, আমরা গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ স্টল নিয়ে মেলার আয়োজন করেছি। এবার চার দেশের প্রকাশনী যুক্ত হয়েছে। আমাদের স্বপ্ন আরো বড়।
এক প্রকাশক বলেন, মুসান্নিফ গ্রুপের সহযোগিতায় এবারের আয়োজন আরো বর্ণিল ও সুশৃঙ্খল হয়েছে। বিদেশী প্রকাশকরা আসায় পাঠকরা আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী গ্রন্থ হাতে পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
মুসান্নিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহদিউল আলম বলেন, ইসলামী সাহিত্যের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি ইসলামের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রচার করে, ধর্মীয় জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, এবং মুসলিমদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে। এর অন্যতম মাধ্যম হলো বই। বিভিন্ন প্রকাশনী এই মেলায় একত্র হয়েছে যার ফলে পাঠকদের বই কিনতে সুবিধা হচ্ছে। এই বইমেলা ইসলামী সাহিত্যের জন্য নতুন দিগন্ত। মূলত দীনের খেদমত, ইসলামী সাহিত্যের জাগরণে সহায়তার উদ্দেশ্যেই মুসান্নিফ গ্রুপ এবারের ইসলামী বইমেলায় স্পন্সর করেছে।
মুসান্নিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আরো বলেন, এই মেলা আমাদের, এই মেলা ইসলামী সাহিত্যের, এই মেলা সুস্থ মানসিকতা বিকাশের, তাই আপনিও শামিল হন। বই কিনুন, বই পড়ুন, বই উপহার দিন।