৪৭তম বিসিএসের লিখিত পেছানোর দাবিতে যমুনা অভিমুখে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
পুলিশের অবস্থান
পুলিশের অবস্থান |সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত পাঁচজন প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ প্রার্থী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন— মো: শাহিন (২৮), আশিকুর রহমান (২৯), শাকিল আহমেদ (২৮), রিয়াজ (২৭) ও আবরার শাহরিয়ার উল্লাস (২৮)।

আহত শাকিল আহমেদ বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। কিন্তু তারা (কর্তৃপক্ষ) আমাদের লিখিত পরীক্ষার জন্য তেমন কোনো সময় না দিয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে। আমরা গত এক মাস ধরে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শাহবাগ এলাকায় আন্দোলন করে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সাথেও বসেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি ছিল, ২৮ ডিসেম্বরকে লিখিত পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা করার জন্য। কিন্তু তারা সেটি না করে চলতি মাসের ২৭ তারিখে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে। আমরা আজ শাহবাগ থেকে যমুনার উদ্দেশে যাওয়ার চেষ্টা করলে সন্ধ্যার দিকে তারা (পুলিশ) আমাদের ওপর লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।’

ঢামেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত পাঁচজন এসেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা ফেটে গেছে। শাহিনের মাথায় ১০টি সেলাই লেগেছে। আর একজন ভাই গুরুতর আহত হওয়ায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে আছেন বলেও জানান শাকিল আহমেদ।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজাল্টের পরে লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির জন্য অন্তত ২৪০ দিন থেকে তার বেশি সময় পাওয়া যায়। এমনও হয়েছে যে, প্রিলিমিনারির রেজাল্টের ১৪ মাস পরেও লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের কাছে কয়েকটি মাস সময় চেয়েছিলাম। অথচ, তা না দিয়ে আমাদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করল।’

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ফারুক বলেন, ‘শাহবাগ এলাকা থেকে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রার্থীদের আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।’

সূত্র : ইউএনবি