ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন নারীই পারে হতে আগামীর ‘বিজয়িনী’

ঢাকার গুলশান-২-এর ডিসিসি নর্থ সুপার মার্কেট পার্কিং জোনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
অনুষ্ঠানে অতিথি ও আলোচকরা
অনুষ্ঠানে অতিথি ও আলোচকরা |সংগৃহীত

‘আমি বিজয়িনী – কন্যা, জায়া, জননী, আমার হাতেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরাজয়’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর গুলশান এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা ক্যাম্প।

বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এ ক্যাম্পে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১২ হাজার নারী প্রতিবছর ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। অথচ নিয়মিত নিজেই স্তন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সময়মতো লক্ষণ শনাক্ত করতে পারলে এ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব।

ঢাকার গুলশান-২-এর ডিসিসি নর্থ সুপার মার্কেট পার্কিং জোনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দিকা।

নূরুন্নিসা সিদ্দিকা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের এ আয়োজনের মাধ্যমে আশা করি নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। যদি তারা নিজেদের চেষ্টায় শুরুতেই এই রোগ শনাক্ত করতে পারে তাহলে মারাত্মক রোগ থেকে নিজেদেরকে তারা রক্ষা করতে পারবে। এটা এমন একটা মরণব্যাধি, যা অসচেতনতার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় আর সচেতন থাকলে শুরুতেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক প্রধান ডা: নাঈমা মোয়াজেম, ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজের রেডিওলোজি বিভাগের প্রধান ডা: হাবীবা চৌধুরী সুইট, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা: সামিয়া মুবিনা।

বক্তারা তাদের আলোচনায় ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে নারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বক্তারা আরো বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার কেবল একটি রোগ নয়, এটি নারীর মানসিক শক্তি, আত্মবিশ্বাস ও সময়োপযোগী সচেতনতারও পরীক্ষা। তাই প্রত্যেক নারীকে নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন হয়ে প্রতি মাসে একবার নিজস্বভাবে স্তন পরীক্ষা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’

অনুষ্ঠান শেষে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, নারীরাই হবে এই লড়াইয়ের অগ্রভাগে — নিজের হাতেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরাজয় ঘটিয়ে হবেন ‘বিজয়িনী’।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন— মহিলা জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি সুফিয়া জামাল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি আমেনা বেগম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি জলি ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের অফিস সেক্রেটারি নাসরিন আক্তার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি আয়েশা সিদ্দিকা পারভীন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি জান্নাতুল কারীম সুইটি, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আইটি ও মিডিয়া বিভাগের আকলিমা ফেরদৌসী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।