দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েড জনিত রোগে আক্রান্ত। দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর ৬০ শতাংশই থেকে যান চিকিৎসার বাইরে।
শুক্রবার রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটি-বিটিএস আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে উঠে আসে এমন তথ্য।
এতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে থাইরয়েড রোগ মা থেকে সন্তানে প্রবাহিত হয়। এর বাইরে আয়োডিনের অভাব বা অতিরিক্ত আয়োডিন গ্রহণেও এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে জানান বক্তারা।
এদিন থাইরয়েড বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেন দেশের ১২০ জন থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ।
সদস্যদের ভোটে পরবর্তী এক বছরের জন্য সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন-নিনমাস বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রধান অধ্যাপক ডা: এ কে এম ফজলুল বারী। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা।
এসময় বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুল বারী বলেন, শুরুতেই রোগটি শনাক্ত না হওয়ায় এ রোগী নীরবে বিস্তার করছে। দেশে আধুনিক নিকিৎসা পদ্ধতি থাকলেও সচেতনতার অভাবে মানুষ জটিল সমস্যা ছাড়া চিকিৎসকের কাছে আসছে না। সারাদেশে বিশেষজ্ঞ তৈরি ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে থাইরয়েড সোসাইটি।