‘বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) জার্নালটি আন্তর্জাতিক গবেষণা স্বীকৃতির (ইনডেক্সিং) তালিকা থেকে বের করে দিয়েছে। গত সরকারের সময় জার্নালটি নিয়মিত প্রকাশ করতে না পারায় বাংলাদেশের এই নামজাদা মেডিক্যাল জার্নালটিকে আন্তর্জাতিক পরিসর থেকে আউট হয়ে যেতে হলো। এ ব্যাপারে ইনডেক্সিং কর্তৃপক্ষ তৎকালীন বিএমআরসিকে সতর্ক করে সময়ও দিয়েছিল কিন্তু আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে বাংলাদেশের মর্যাদা ভুলুন্ঠিত হয়েছে।’
বিএমআরসি’র ভবিষ্যৎ নির্দেশনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএমআরসি’র চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা: সায়েবা আক্তার মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এসব জানান।
তিনি বলেন, ‘তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর বিএমআরসি’র জার্নালটি নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে।’
অধ্যাপক সায়েবা আক্তার সাংবাদিকদের আরো জানান, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) মলিক্যুলার ও সেলুলার গবেষণার জন্য নির্ধারিত তিন একর জমিটিও বস্তির ছদ্মাবরণে একটি মহল দখল করে রেখেছে। ওই মহলটি যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক ওরা তাদের হয়ে যায় এবং নানা কায়দা-কানুন বের করে বিএমআরসি’র জমিটি দখল করে থাকে।
তিনি বলেন, ‘জায়গা না থাকায় মলিক্যুলার ও সেলুলার গবেষণা বিএমআরসি করতে পারছে না যা জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ‘বিএমআরসি’র পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের মেডিক্যাল গবেষণাকে এগিয়ে নিতে চাই কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। গবেষণা অনুমোদন পেয়ে অনুদান নিতে গেলে স্পিডমানি দিতে হয় কেন?’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সায়েবা আক্তার বলেন, ‘গবেষণা অনুদান নেয়ার আগে বিএমআরসিতে আগে স্পিডমানি লেগেছে কি না জানি না, তবে এখন কোনো স্পিড মানির প্রয়োজন হয় না। আমরা দু’ কিস্তিতে গবেষকদের অনুদান দিয়ে দিচ্ছি। আগে একটি গবেষণা অনুমোদন দিতে সর্বোচ্চ ১৫৪ দিন সময় নিলেও চলতি বছর আমরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছি ১২৭ দিনের মধ্যে, ভবিষ্যতে আরো কম সময়ের মধ্যে গবেষকদের গবেষণার অনুমোদন দেয়া হবে যেন, গবেষকদের সময় নষ্ট না হয়।’
তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সরকারি-বেসরকারি ২৫ প্রতিষ্ঠানের ৫০০ জনকে বিএমআরসি গবেষণা করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।’
মতবিনিময় সভায় দেশের জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টাররা অংশ নিয়েছেন। বিএমআরসি’র পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন, অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম, অধ্যাপক মো: নুরুল হুদা লেনিন, ডা: তৌহিদুল ইসলাম, ড. আহমেদ এহসানুর রহমান।