ধরা পড়লেও শাস্তি নেই

বিএমইউতে অন্যের থিসিস চুরি করা ব্যক্তিরও ইনক্রিমেন্ট অব্যাহত

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বর্তমান সহযোগী অধ্যাপক ডা. চন্দন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অন্যের থিসিস নিজের নামে প্রকাশের এ অভিযোগ ওঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যের থিসিস নিজের নামে প্রকাশ (প্লেগিয়ারিজম) করা ব্যক্তিরও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট অব্যাহত আছে। অন্যের থিসিস নিজের নামে জার্নালে প্রকাশ করলেও এর শাস্তি হয়নি, বরং বহাল তবিয়তে তিনি গত আওয়ামী লীগ আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচরণ করেছেন। তখনকার প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপ দিতে সব ধরনের চেষ্টা করে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বর্তমান সহযোগী অধ্যাপক ডা. চন্দন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অন্যের থিসিস নিজের নামে প্রকাশের এ অভিযোগ ওঠেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপকের লেখা তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিকেশনে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন।

গত আওয়ামী লীগ আমলে তার শাস্তি না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-চিকিৎসকরা আশা করেন, বর্তমান প্রশাসনের সময় তার অপকর্মের শাস্তি হবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুষদের শিক্ষক-চিকিৎসকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

তারা বলছেন, বিষয়টি নিয় গণমাধ্যমে নিউজ হলেও ডা. চন্দন কুমার রায়ের প্লেগিয়ারিজমকে শাস্তির আওতায় না আনা হলে এ ধরনের ঘটনা আরো অনেকেই উৎসাহের সাথে করতে থাকবে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক সাহস থাকবে না কিছু বলার।

বেসিক সায়েন্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নয়া দিগন্তকে বলেন, মাইক্রোবায়োলজিতে অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশ ব্যক্তি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। আবার একই বিভাগের মেশিনসহ নানা ধরনের কেনাকাটায় দুর্নীতি থাকলেও সেই তদন্তও হয়নি। এতে আওয়ামী আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, তদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।

উল্লেখ্য, স্বাচিপের লাইফ মেম্বার ডা. চন্দন কুমার প্রথমে ভাইরোলজিতে এমফিল করলেও পরে তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে চলে আসেন বলে জানা গেছে। তিনি কেন বিভাগ বদলালেন, সেটা নিয়েও রহস্য রয়েছে।