‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে সারা দেশের মতো বিদেশেও বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়েছে। সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রিটেনে বাংলাদেশের তিনটি মিশনের দু‘টিতে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়েছে।
ব্রিটেনের বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন যথাযথ মর্যাদায় ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালন করেছে। এছাড়া ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে দিবসটি উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ২৩ জুলাই জুলাই বিয়ন্ড বর্ডার শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ম্যানচেস্টার সহকারী হাই কমিশন। কিন্তু বার্মিংহাম সহকারী হাই কমিশনে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান পালনের খবর পাওয়া যায়নি।
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে লন্ডনে হাই কমিশন কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার আবিদা ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই: একটি আন্দোলন নয়, এক বিস্ময়। জুলাই মাসে যা ঘটেছিলো, তা একটি সাধারণ রাজনৈতিক প্রতিবাদ ছিল না। এটি ছিল এক ভবিষ্যতের দাবি নিয়ে উঠে আসা তরুণ প্রজন্মের মহাযাত্রা। একটি প্রজন্ম বলেছিলো- আর নয় অবিচার, আর নয় দুর্নীতি, আর নয় রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার। এই আন্দোলনে নারীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কোনো আন্দোলনে এত ব্যাপকতা ছিল না। এই বাংলাদেশ কেবল আমাদের স্বপ্ন নয়, ছিলো জুলাই শহীদদের চাওয়া। তাই জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগের মূল্য দিতে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, একটি বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ গড়তে।
জুলাই শহীদ দিবস অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন, কাউন্সিলর মৌমিতা জিনাত, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর তানভীর মোহাম্মদ আজিম, কাউন্সিলর পাসপোর্ট ও ভিসা উইং এ জেড এম শরীফ হোসেন, ফার্স্ট সেক্রেটারি মীর নুরানি রূপমা, সোনিয়া মুন্নী, জিনাত ও ওয়ারিসুল ইসলাম।