অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দিবসটির প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মিশনের মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমাদের সবার’- প্রতিপাদ্য নিয়ে ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা, ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনী। এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন হয় অনুষ্ঠানে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো: সোহেল পারভেজ।
এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, শহীদদের স্মৃতি, প্রবাসীদের অবদান, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণসহ বর্তমানে মালদ্বীপে ডলার সঙ্কটের কারণ ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর সুবিধার্থে যেকোনো একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খোলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সভাপতি মো: খলিলুর রহমান।
হাইকমিশনের মিলনায়তনে প্রদর্শিত প্রতিটি চিত্র ও গ্রাফিতিতে তরুণদের স্বপ্ন, সাহস আর আত্মত্যাগ এবং গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসের মূর্ত প্রতীকীতে অভিহিত হয়।
জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি সন্নিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফোরাম মালদ্বীপের সেক্রেটারি জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালদ্বীপ শাখার সভাপতি আলমগীর শিকদার।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আন্দোলনে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো: সোহেল পারভেজ।
তিনি বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদানের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। একইসাথে গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা এবং বর্তমান সরকারের প্রবাসীবান্ধব নীতি ও তাদের অধিকার সুরক্ষায় চলমান প্রচেষ্টার তাৎপর্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। একইসাথে জুলাই স্পিরিট ধারণ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।