প্যারিসে বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদের বার্ষিক অভিভাবক সমাবেশ

চারপাশের প্রকৃতি, পরিবেশ, পরিস্থিতি, মানুষ, সমাজ ও বাস্তবতা দ্বারা প্রত্যেকেই প্রভাবিত। বহুবিধ সঙ্কটের ভেতর থেকেই শিশুমনকে পবিত্রতার চাদর পরিয়ে তৈরি করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হলে সচেতনভাবেই প্যারেন্টিং স্কিল ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত জরুরি।

মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইন, প্যারিস (ফ্রান্স)
প্যারিস
প্যারিস |সংগৃহীত

ফ্রান্সের প্যারিসে বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার পরিচালিত মাদরাসা বিভাগের বার্ষিক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) প্যারিসের উপশহর স্তাঁ’য় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ ও সেন্টারের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাউদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আবুল হোসাইন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি নেতা মুহাম্মদ জালাল আহমেদ। পরিচালনা করেন ইমাম ও মাদরাসার প্রিন্সিপাল আহমাদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হোসাইন খান বলেন, ‘প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এ সময়ে দাঁড়িয়ে ‘ডিভাইস প্রজন্ম’ নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তার যেন শেষ নেই। সত্যিকার অর্থেই সন্তান প্রতিপালনের চ্যালেঞ্জ এক ভিন্ন মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে। কে না চায় যে তার ঔরসজাত সন্তান চক্ষুশীতলকারী একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠুক।’

তিনি বলেন, ‘কেবল প্রত্যাশা করলেই তো সুসন্তান গড়ে তোলা যায় না। এ দুনিয়ায় এমন কোনো মেশিন নেই যার মধ্য দিয়ে একজন সন্তানকে মানুষ বানিয়ে বের করা যায়। চারপাশের প্রকৃতি, পরিবেশ, পরিস্থিতি, মানুষ, সমাজ ও বাস্তবতা দ্বারা প্রত্যেকেই প্রভাবিত। বহুবিধ সঙ্কটের ভেতর থেকেই শিশুমনকে পবিত্রতার চাদর পরিয়ে তৈরি করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হলে সচেতনভাবেই প্যারেন্টিং স্কিল ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত জরুরি। প্যারেন্টিং স্কিলস এখন আর শৌখিনতা নয়; অনিবার্য বাস্তবতা।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা দিয়ে আসছে, যা দেশীয় সংস্কৃতি ও ফরাসি সমাজের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষার দৃষ্টান্ত।